বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
করে। তাঁর বাড়ি বনগাঁ শহরের বাবুপাড়া এলাকায়। তিনি পেশায় কুঁয়ো তৈরির মিস্ত্রি। পুলিস রামকৃষ্ণবাবুর স্ত্রী স্বপ্না সরকার ও তার প্রেমিক সুজিত দাসকে আটক করে জিঙ্গাসাবাদ শুরু করেছে। সুজিতের ঘরের মেঝে থেকে রামকৃষ্ণবাবুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাইঘাটারা ঝাউডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোয়ালবাথান গ্রামে সুজিত দাসের বাড়ি। সে পেশায় রাজমিস্ত্রির জোগাড়েরর কাজ করে। আগে দুটি বিয়ে করলেও, নানান কারণে তার দুই স্ত্রী ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছে। বর্তমানে সে একাই থাকে। তাদের বাড়ি লাগোয়া এলাকায় ধানের জমি ও খাল রয়েছে। মঙ্গলবার ওই খালে জাল ফেলতে আসেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। তিনি জাল ফেলতে এসে দেখেন খালপাড়ের বাঁশ জঙ্গলে চাপ চাপ রক্ত সঙ্গে পড়ে রয়েছে রক্তমাখা-চুলভর্তি একটি চ্যালা কাঠ। তিনি দ্রুত গ্রামবাসীদের বিষয়টি জানান। এরপর স্থানীয় সিভিক ভলান্টিয়ার বিষয়টি জানতে পেরে গাইঘাটা থানায় খবর দেন। ওইদিন দুপুরে পুলিস এসে জঙ্গলে তল্লাশি চালায়। জঙ্গলের ভিতর থেকে জামা,জুতো, মাস্ক, ব্যাগ ও টর্চ লাইট উদ্ধার হয়। সকলে সন্দেহ করেন মৃতদেহ খালের জলে ফেলা হতে পারে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের দিয়ে খালে জাল টেনে দেখেন পুলিস কর্মীরা। কিন্তু তাতেও কিছু পাওয়া যায়নি। বুধবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা সুজিতের বাড়ির উঠোনে রক্ত পড়ে থাকতে দেখেন। এছাড়া মঙ্গলবার দুপুর থেকে তার ঘর তালা বন্ধ দেখে সকলের সন্দেহ হয়। এরপর পুলিস কর্মীরা দরজা ভেঙে ঘরের মেঝে খোঁড়াখুঁড়ি অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। সন্দেহবশত ওই জায়গা খুঁড়ে পুলিস এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে। সেটি রামকৃষ্ণবাবুর মৃতদেহ বলে শনাক্ত হয়। মৃত ব্যক্তি এর আগে একাধিকবার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে সুজিতের বাড়িতে এসেছিলেন। এরপর পুলিস তদন্তে নেমে মৃতের স্ত্রী ও সুজিত দাসকে আটক করে জিঙ্গাসাবাদ শুরু করেছে। প্রাথমিক জেরায় পুলিস জেনেছে, স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কে বাধা দিয়েছিলেন রামকৃষ্ণবাবু। সেকারণে পরিকল্পনা মাফিক তাঁকে গাইঘাটায় ডেকে এনে বাড়ি লাগোয়া ঝোপে বসে একসঙ্গে মদ খায় সুজিত। এরপর তাঁকে চ্যালা কাঠ দিয় খুন করে ঘরের মধ্যে লুকানোর চেষ্টা করে। পুরো ষড়যন্ত্রে মৃতের স্ত্রীরও মদত রয়েছে। বনগাঁর মহকুমা পুলিস আধিকারিক অশেষ বিক্রম দস্তিদার বলেন, পরকীয়া সম্পর্কের কারণে ওই ব্যক্তি খুন হয়েছেন। মৃতের স্ত্রীর পাশাপাশি সুজিতকে জেরা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।