বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবড়া পুরসভার লোকনাথ সরণী এলাকাটি বর্ষার সময় থেকেই জলমগ্ন। এই এলাকাতেই থাকেন গোপাল সরকার ও সাথী সরকার। ছ’মাসের শিশুপুত্রকে নিয়েই তাঁদের সুখের সংসার। তবে সংসারপাতি সবটাই খাটের উপরে। নীচে হাঁটুসমান জল। এই জল ঠেলেই দিন চলে দম্পতির। রবিবার ছেলেকে দুপুরে খাইয়ে খাটে ঘুম পাড়িয়ে চৌকাঠের বাইরে গিয়েছিলেন সাথীদেবী। পাশের দুর্গা মণ্ডপে ত্রাণসামগ্রী বিলি করার কথা ছিল। সে ব্যাপারে জানতেই গিয়েছিলেন তিনি। কখন ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হবে, জেনেই ঘরে ফিরে আসেন তিনি। দেখেন, ছেলে খাটে নেই। সাথীদেবী চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা দৌড়ে আসেন। এরপর জমা জলের নীচে থেকে তাঁরাই উদ্ধার করে অচেতন শিশুপুত্রকে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত শিশুর মামা রাজীব সরকার বলেন, ঘরের মধ্যে এক হাঁটুর বেশি জল জমে রয়েছে। কীভাবে এই এলাকায় আমরা বাস করছি, তা ভগবানই জানেন। ভাগ্নেকে এভাবে হারাতে হবে, স্বপ্নেও ভাবিনি। বোন পাগলের মতো হয়ে গিয়েছে। কী ভাষায় সান্ত্বনা দেব, ভেবে পাচ্ছি না। বিজেপি নেতা বিপ্লব হালদার বলেন, হাবড়া শহরের জল নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পদ্মা খাল মজে যাওয়ার পাশাপাশি তা জবরদখল করা হয়েছে। খালের জমিতে অবৈধ নির্মাণ তৈরি হয়েছে। সেকারণে শহরের বিস্তীর্ণ অংশের কয়েক হাজার মানুষ এখনও জলবন্দি হয়ে রয়েছেন। এই শিশুপুত্রের মৃত্যুতে পুরসভার দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। পুরসভার প্রশাসক নীলিমেশ দাস বলেন, ওই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। ওই জল বের করার জন্য পুজোর আগেই ১৪টি পাম্প বসানো হয়েছে। তবে জল বেশি থাকায় তা দ্রুত বের করা যাচ্ছে না।