রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
ছাত্রটির মামা বাচস্পতি ভট্টাচার্য বলেন, আমার ভাগ্নে সাঁতার জানত না। বাড়ির সামনে পুকুর থাকা সত্ত্বেও কোনওদিন সেখানে নামেনি। তাহলে কীভাবে সৌরভ জলে নামল! আমাদের স্পষ্ট অনুমান, ওকে খুন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে আমরা এফআইআর করব। ঘটনার পর থেকেই ভেঙে পড়েছেন সেনগুপ্ত বাড়ির সদস্যরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রতনবাবু শ্মশানঘাটে সৌরভের শেষকৃত্য করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভট্টাচার্য পাড়ার বাসিন্দা কেবল ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ সেনগুপ্ত এব সঞ্চিতা সেনগুপ্তের দুই যমজ মেয়ে এবং এক ছেলে। একমাত্র ছেলে সৌরভ সোদপুরের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়া ছিলেন। দুই দিদির মধ্যে একজনের বিয়ে হয়েছে মাসচারেক আগে। বাচস্পতিবাবু বলেন, সৌরভ ওর মাকে জানিয়েছিল, নবমীর দিন সারারাত বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখবে, তারপর ভোররাতে ফিরে আসবে। সেইমতো গত রবিবার মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ও বেরিয়ে যায়। রাতভর সৌরভ বাড়ি ফেরেনি। পুলিস জানিয়েছে, অনিরুদ্ধবাবু সৌরভকে ফোন করলে প্রথমে ওর ফোন স্যুইচড অফ পান। কিছুক্ষণ পর আবারও ফোন করা হলে মোবাইলে রিং হয়। কিন্তু সৌরভ তোলেননি ফোন। বাচস্পতিবাবুর কথায়, সোমবার সকালে পাড়ার এক বাসিন্দা পুকুর পাড়ে সিঁড়ির উপরে সৌরভের মোবাইলটি দেখতে পান। পুকুর পাড়ে গিয়ে সৌরভের আর কিছু পড়ে রয়েছে কি না, তা খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। বিষয়টি বরানগর থানার নজরেও নিয়ে আসি। কিন্তু সেখান থেকে ডুবুরি আসতে দেরি হচ্ছে দেখে কুঠিঘাট থেকে বেসরকারি সংস্থার ডুবুরি ভাড়া করে নিয়ে আসি। পুকুরে নেমে ডুবুরিরা তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালানোর সৌরভের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিস জানিয়েছে, মৃত যুবকের সঙ্গে যেসব বন্ধু সেদিন ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, রাত দেড়টা নাগাদ ভট্টাচার্য পাড়ায় বাড়ির গলির সামনে সৌরভকে তাঁরা গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। তারপর তাঁরা চলে যান। সৌরভের পরিজনদের কথায়, ওর গলায় একটি সোনার চেনও ছিল। সেটিও খোয়া গিয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।