সুজয় মণ্ডল, বসিরহাট: সেই জমজমাট ভাবটা যেন নেই। করোনার জন্য টাকির ইছামতি নদীতে এবার দুই বাংলার বিসর্জনের চিত্র অনেকটাই ফিকে হয়ে গেল। সোমবার, দশমীতে সকাল থেকেই প্রতিমা বিসর্জনের পালা চলেছে এই পাড়ে টাকি রাজবাড়ি ঘাটে। তবে তা করোনাবিধি মেনে, পুলিস এবং বিএসএফের কড়া নজরদারিতে। এমনকী সিঁদুর খেলাও হল করোনা-নিয়ম অনুসারে। মুখে মাস্ক পরে এবং হাতে স্যানিটাইজার লাগিয়ে এবার সিঁদুর খেলার ব্যবস্থা করা হয়েছিল টাকি রাজবাড়ির ঘাটে। সৈয়দপুর মুখোপাধ্যায় বাড়ির সদস্যরা ইছামতীর পাড়ে মাস্ক এবং স্যানিটাইজারও বিলি করেন। সব নিয়ম-নীতি মেনে ২৪ জন বেয়ারার কাঁধে চড়িয়ে নদীর ঘাটে প্রথমে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর চলে ইছামতি নদীবক্ষে নৌকায় দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের পালা। রামেশ্বরপুরের ঘোষ বাড়ি, টাকি জমিদার বাড়ির ও বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দশমীতে প্রায় একুশটি প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয় এই ঘাট থেকে।
এদিন সকাল থেকে পুলিস ও বিএসএফের নজরদারিতে ঠিকঠাকই চলছিল প্রতিমা নিরঞ্জন। থেকে কিন্তু বেলা চারটে নাগাদ ইছামতি নদীতে দর্শনার্থীদের নৌকা নামার পর সেই নিয়মে কিছুটা শিথিলতা দেখা যায়। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার চেষ্টা করেননি বিসর্জন দেখতে আসা দর্শনার্থীরা। সব ভয়কে দূরে সরিয়ে আনন্দে গা ভাসিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। যদিও প্রতিমা বিসর্জন দেখতে আসা বাপন মণ্ডল, বুবাই মণ্ডলের বক্তব্য, বহু বছর ধরে আমরা এই ইছামতী নদীবক্ষে বিসর্জন দেখতে আসি। কিন্তু এবার সেই আনন্দ আর উপভোগ করতে পারলাম না করোনা মহামারীর জন্য।