পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আয়োজন নিয়ে বারোয়ারি পুজোর উদ্যোক্তাদের উৎসাহে ঘাটতি পড়েছিল আগেই। তেমনই পারিবারিক পুজোর আয়োজনে ত্রুটি না থাকলেও ঘাটতি ছিল উৎসাহে। প্রতিবছর পুজোর সময় দেশ-বিদেশে থাকা আত্মীয়দের ভিড়ে জমাজমাট হয়ে উঠত হাওড়া, হুগলির বনেদি বাড়ির মণ্ডপগুলি। এবার অধিকাংশ বনেদি বাড়িতে সেই জাঁকজমকের নামগন্ধ নেই। দূরান্তের আত্মীয়রাও আসতে পারেননি। উত্তরপাড়ার ঘোষালবাড়ির কর্তা প্রবীর ঘোষাল বলেন, আত্মীয়রা অধিকাংশই আসেননি। তাঁদের জন্য অনলাইনে পুজো দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে আনন্দের আবহে ঘাটতি তো পড়ছেই। তবে পুজো হচ্ছে যাবতীয় নিয়ম নিষ্ঠা মেনেই।
করোনা আবহে পুজো হচ্ছে এবার। তার উপর এদিন হাওড়ার আবহাওয়া ছিল দূযোর্গপূর্ণ। ফলে আমজনতাকে মণ্ডপমুখী হতে বিশেষ দেখা যায়নি। সকালের দিকে ছোট্ট মেয়ের বায়না সামাল দিতে কদমতলা এলাকায় ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন স্থানীয় যুবক অরিজিৎ বসু। তিনি বলেন, বাড়ির ছোটদের পরিস্থিতি বোঝানোর সাধ্য নেই। তাদের মন খারাপ কাটাতে একবার বাইরে বের হতে হয়েছিল। কিন্তু ওই বের হওয়াই সার। হাওড়া শহরে সকাল থেকে বাজারহাট, রাস্তাঘাটে ভালো ভিড় থাকলেও মণ্ডপমুখী মানুষের সংখ্যা কম। শিবপুরের ওলাবিবিতলা, মন্দিরতলা, মধ্য হাওড়ার পঞ্চাননতলা রোড সংলগ্ন পাগলা ফৌজ, অন্নপূর্ণা ব্যায়াম সমিতির পুজো মণ্ডপে সন্ধ্যার দিকে কিছু লোকজন দেখা গেলেও তাকে ভিড় বলা চলে না। বালি, বেলুড়, লিলুয়া বা সালকিয়ার পুজোগুলিও এবার অনেকটাই জৌলুসহীন।
চুঁচুড়ার কারবালা রোড ও ব্যান্ডেলের কিছু মণ্ডপে থিম পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। থিমের বিস্তার ঘটেছে শ্রীরামপুর, চণ্ডীতলাতেও। কিন্তু মহাষষ্ঠীর দিন যেভাবে মানুষের উচ্ছ্বাস দেখে অভ্যস্ত উদ্যোক্তারা, এবার তার সিকিভাগও দেখা যায়নি। ইতস্তত বিক্ষিপ্ত মানুষকে পথে নামতে দেখা গেলেও ভিড় কোথাও ছিল না। বস্তুত করোনা আবহে মহাষষ্ঠীর বিরল চিত্র দেখা গেল হাওড়া-হুগলিতে।