পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এবছর রাজবাড়ির পুজো তুলে নিয়ে আসছে বরানগরের মল্লিক কলোনির দুর্গাপুজো কমিটি। কোচবিহারের রাজবাড়ির আদলে এই পুজো কমিটির মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। কাপড় এবং থার্মোকলের মাধ্যমে রাজবাড়ি ফুটে উঠবে। তবে পুজো কমিটির যে স্থায়ী নাটমন্দির রয়েছে, সেখানে থাকবে প্রতিমা। পুজো উদ্যোক্তাদের কথায়, রাজবাড়ির বাঁদিকে প্রবেশদ্বার। কিন্তু কোভিডের নিয়মবিধি মেনে আমরা মণ্ডপের সামনে প্রবেশদ্বার করেছি এবং চারপাশ খোলা রাখা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের মানুষের এখন একটাই প্রার্থনা, করোনা মুক্ত পৃথিবী। করোনাসুরকে বধের জন্য মা দুর্গার কাছে বাংলার মানুষ প্রতিটি ক্ষণে আবেদন-নিবেদন করে চলেছেন। কিন্তু এই করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে যাঁরা সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করছেন, তাঁদের অবদান কোনওভাবেই কম নয়। পুলিস, চিকিৎসক, নার্স, প্রতিটি স্তরে স্বাস্থ্যকর্মী বা হাসপাতালের গ্রুপ ডি স্টাফ, প্রত্যেকেই নিজেদের সবটুকু উজাড় করে দিচ্ছে। তাঁদের লড়াইকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এবছর বরানগরের যাদবচন্দ্র ঘোষ লেনের বন্ধুদল স্পোর্টিং ক্লাবের থিম ‘মুক্তির আহ্বাবান’। আলো এবং নিখুঁত মণ্ডপসজ্জার মাধ্যমে গোটা বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। থিমের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই প্রতিমা তৈরি করেছেন শিল্পী।
একইভাবে প্রত্যেক কোভিড সেনানী এবং যুদ্ধে জয়ী সৈনিকদের সম্মান জানাতে বদ্ধপরিকর বারাকপুরের মধ্য নোনা চন্দনপুকুর অধিবাসীবৃন্দ দুর্গাপুজো কমিটি। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে পুলিস, প্রত্যেকের মডেল মূর্তি স্থান পাচ্ছে মণ্ডপসজ্জায়। করোনায় আক্রান্ত থেকে সুস্থ হয়ে সমাজ জীবনে ফেরা, সবই তুলে ধরা হবে এই মণ্ডপসজ্জার মধ্যে দিয়ে। এমনকী, অসচেতন নাগরিকদের কারণে কীভাবে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভয়ঙ্কর ভাইরাস, তাও গুরুত্ব দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে এবার। থাকছে প্রয়োজনীয় আলোর ব্যবহার। প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই।
বরানগর দাদা ভাই সঙ্ঘের প্রতিমা। -নিজস্ব চিত্র