স্বার্ণিক দাস, কলকাতা: উদ্বোধনের পরই ভার্চুয়াল মাধ্যমে শোরগোল ফেলে দিয়েছে বড়িশা ক্লাব। বেহালা সখেরবাজার চত্বরের অন্যতম পুজোয় প্রতিমা এবার অন্যরকম। মাতৃমূর্তি এখানে রক্তমাংসের মায়ের রূপ পেয়েছে। সার্বিকভাবে বলতে গেলে, পরিযায়ী শ্রমিক মা তার সন্তানদের নিয়ে বেরিয়েছেন অন্নসংস্থানের খোঁজে। লকডাউন এবং তার পরে বহু মানুষ প্রতিদিন দু’বেলা খেতে পাননি। সেই পরিস্থিতির নিরিখে চলতি বছরে বড়িশা ক্লাবের প্রতিমা যথাযথ বলে মনে করছেন নেটিজেনরা। তাই উদ্বোধনের পর নেট পাড়ায় বহুল চর্চিত বড়িশা ক্লাবের প্রতিমার রূপ। শিল্পী কৃষ্ণনগর নদীয়ার বাসিন্দা পল্লব ভৌমিক। ‘মারির দেশে ত্রাণের বেশে, অন্নপূর্ণার ভেলায় ভেসে’- এবছর বড়িশা ক্লাবের এই ভাবনা তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত। কেন তাঁর এই ভাবনা এবং কেন প্রথাগত মাতৃরূপের বদলে বিচিত্র এই উপস্থাপনা? প্রশ্নের উত্তরে জানা গিয়েছে, গত বছরের শেষ থেকে এই পুজো নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছিল। তবে লকডাউন হওয়ায় মোড় ঘুরে গিয়েছে ভাবনা-চিন্তার। করোনার প্রকোপে হাহাকার চারিদিকে। দু’মুঠো খাওয়ার আশায় হত্যে দিয়ে পড়ে থাকতে হয়েছে অনেককেই। সেই সময় বড়িশা ক্লাব সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। সেখান থেকেই এই ভাবনার বহিঃপ্রকাশ। অন্যদিকে, ঠাকুরপুকুর ক্লাবের এবারের ভাবনা ‘ভক্তি’।
মণ্ডপের প্রবেশপথে শিবের বিশাল মূর্তি এবং পরিশেষে দেবী প্রতিমা দর্শন করতে পারবেন আগত দর্শনার্থীরা। মাঝে থাকছে প্রায় সমস্ত দেবদেবীর ছবি। কেন তাঁদের এই ভাবনা চিন্তা? শিল্পী বিপ্লব কর্মকারের কথায়, ‘দর্শনার্থীদের ভক্তির পাঠ দেবে ঠাকুরপুকুর ক্লাব। সেই কারণে মণ্ডপে টিন এবং ফোম দিয়ে নানান ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রয়েছে রাধা কৃষ্ণের চিরন্তন প্রেম। থাকছে তুলসী মঞ্চে সন্ধ্যা আরতি। টিনের কারুকার্যের উপর ছোট ছোট করে ফোম কেটে কোলাজের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে সেই সব ছবি। থাকছে স্পেশাল সাউন্ড এফেক্ট। মণ্ডপে শোনা যাবে ওম মন্ত্র। কোভিড পরিস্থিতিতে
স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়ে তৎপর ঠাকুরপুকুরের ক্লাবটি। নিজস্ব চিত্র