উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
বেলুড় হাইস্কুলের শিল্পকলার শিক্ষক তপন পাল বললেন, ১৯৯৮ সাল থেকে বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করছি। বছরে অন্তত তিনটি করে প্রতিমা তৈরি করি। পুজো মণ্ডপগুলিতে চাহিদা থাকলে কোনও বছর সংখ্যাটি আরও বেশি হয়ে যায়। তবে চলতি বছরে কোনও প্যান্ডেলের জন্য প্রতিমা তৈরি করিনি। কোভিড পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ববিধি মানার জন্য অনেকরকম বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। সেগুলি উদ্যোক্তারা গুরুত্ব দিয়ে পালন করছেন। তবে আগামী বছর ফের নতুন কিছু উপকরণ নিয়ে কাজ করব। কলকাতার গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্রাফ্ট-এর ছাত্র তপনবাবু ছোটবেলা থেকেই নানান উপকরণ দিয়ে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করছেন। বললেন, প্রথমে মনে ভয় থাকত। যদি না হয়! কিন্তু বছরের পর বছর তৈরি করতে করতে আত্মবিশ্বাস চলে এসেছে। বর্তমানে এক অদ্ভুত নেশা তৈরি হয়ে গিয়েছে তাঁর। নিজের কর্মস্থলের কাজ সামলেই নিরন্তর এই কাজ করে চলেছেন তিনি। তপনবাবু যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন তাঁর বাড়িতেই। বললেন, পুজো উদ্যোক্তারা আমার এই কাজ বিশেষ মূল্য দিয়েই নিজেদের মণ্ডপে সাজানোর জন্য নিয়ে যান। আমার বাড়িতে যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। আমার সৃষ্টিগুলি যদি সাজিয়ে রাখতে পারতাম, তাহলে স্টুডিও’র থেকে কম কিছু হতো না। কী কী উপকরণে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেছেন বছরের পর বছর? জানা গেল, কাঁচা সব্জি, বিভিন্ন ডাল, ধান, চাল, কালো জিরে, শুকনো লঙ্কা, বিভিন্ন ফল, খেজুর গাছ খোদাই করে, পরিত্যক্ত ক্যাপসুল ও ট্যাবলেট, ছানা ও মিষ্টি, ফুচকা, কাগজ, পাঁপড়, তাল গাছ খোদাই করে, নকশা করা পাথর, নারকেল ছোবড়া, নাইলেন মশারি, কড়ি, বাসন মাজার স্কচ ব্রাইট, ঘাস, বিদ্যুতের তার, সেফটি পিন, স্টোভের সলতের মতো উপকরণ দিয়েও প্রতিমা তৈরি করে বহু নামী পুজো উদ্যোক্তার বাহবা কুড়িয়ে নিয়েছেন এই ভাস্কর্য শিল্পী। তবে প্রায় বছর ২০’র বেশি সময় ধরে এই কাজ করে আসা শিল্পীর মনে রয়েছে সামান্য অভিমানও। মনে করেন, শিল্পীদের সম্মান দিয়ে উৎসাহ জোগানোর লোকের অভাব রয়েছে। উৎসাহ মিললে কাজের ক্ষেত্রে গতি আসে। যা আগামীদিনে কোনও দুর্গম পথকেও মসৃণ করে তোলে। নিজস্ব চিত্র