রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
ভিড়ের রেকর্ড তৈরিতে ত্রিধারা সম্মিলনী বরাবরই প্রথম সারিতে থেকেছে। কিন্তু করোনাকালে বদলাতে হয়েছে চিন্তা-ভাবনা। ৭৪ বছরের পুজোয় তাদের ডাক, ‘এই অকালে বোধন থাক, উৎসব নয়’। পুজো প্রাঙ্গণে মনীষীদের স্মরণ করে কুর্নিশ জানানো হচ্ছে কোভিড যোদ্ধাদের। বিদ্যাসাগর, সিস্টার নিবেদিতা, মাদার টেরেজার জীবসেবাকে যেমন তুলে ধরা হচ্ছে। তেমনই থাকছে নিজের জীবন বিপন্ন করে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা ডাক্তার, নার্স, সাফাই কর্মীদের কথা। এঁরাই নর রূপে নারায়ণ বলে জানালেন পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস কুমার। প্রাণভরে বাতাস নিতে বলছে হিন্দুস্থান ক্লাব। ৫৮তম বছরে তাদের উপস্থাপনা, প্রাণবায়ু। মণ্ডপে প্রবেশের মুখেই চোখে পড়বে বিরাট আকৃতির ফুসফুস। বর্তমান পরিস্থিতিতে তা সজীব রাখাটাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। মণ্ডপের ভিতরেও অনুভূত হবে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ। ব্যবহার করা হয়েছে চাল,আলুর বস্তা। বাঁশের বাঁকারি থেকে ঠিকরে পড়ছে আলো। দেবীর লাল পাড় সাদা শাড়ি তৈরি হয়েছে গজ, চেলি কাপড় দিয়ে। মহিলা পরিচালিত এই পুজো সাফল্যের সুনাম কুড়িয়েছে। এবারও আশাবাদী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বিথী বসুরা। হিন্দুস্থান পার্ক ‘মানত’করেছে, পৃথিবী হোক করোনামুক্ত। ৯০ বছরের এই পুজোয় দেখা মিলবে, সুতোয় বাধা ঢিল থেকে মানত রাখার খণ্ডচিত্র। কালো স্টোন ফিনিশ এখানে দেবী প্রতিমা। কম খরচের উপকরণ দিয়ে মণ্ডপ সাজিয়ে তোলা হয়েছে। বিগত বছরের শিল্পীদের সাহায্য করাটাই উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তা সুতপা দাস। বড় দুর্গা করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল দেশপ্রিয় পার্ক। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। প্রতিমা, মণ্ডপ-সবই ছোট। নেই কোনও হোর্ডিং, পোস্টার। নেই প্রতিযোগিতায় শামিল হয়ে সেরার সেরা হওয়ার লড়াই।
ভাষা শহীদ স্মারক সংলগ্ন মঞ্চকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। মাস্ক পরার উপকারিতার কথা তুলে ধরে কর্মকর্তা রূপ কুমারের কথায়, পুজোর বার্তা— বন্ধনেই মুক্তির আনন্দ। শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে ৭০তম বর্ষে বালিগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের ভাবনায়, সাদা রং। দেবী দুর্গার এবার গজে গমন। যার ফল শস্য শ্যামলা বসুন্ধরা। সেটাই ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে পুজো মণ্ডপে। থাকছে কৃত্তিম হাতি। অর্গানাইজিং সেক্রেটারি সপ্তর্ষি বসু বলেন, ‘এবার দায়বদ্ধতার পুজো। উৎসব হবে আগামী বছরে।’ ত্রিধারা সম্মিলনীর প্রতিমা। -নিজস্ব চিত্র