উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
তবে পুলিসের মতো বিস্মিত হয়েছেন সুজাতের প্রতিবেশীরাও। পাড়ার সকলে অন্তত ভালো ছেলে হিসেবেই চিনতো সুজাতকে। অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে তার যোগ থাকা এবং বাড়িতে অস্ত্র কারখানা গড়ে তোলার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর প্রতিবেশীরা অবাক হয়ে গিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী বললেন, ছেলেটি খুব ভালো। মিশুকে স্বভাবের। অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা করেছে। সেই ছেলে কীভাবে অস্ত্র কারবারি হয়ে উঠল, তা সত্যিই ভাবাচ্ছে। মানুষের মনে যে কী রয়েছে, কে জানে! চন্দননগরের পুলিস কমিশনার হুমায়ুন কবীর বলেন, এলাকায় ছেলেটির সুনাম আছে। একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার এভাবে অস্ত্র কারখানা গড়বে, অস্ত্র বিক্রি করবে, সেটা বিস্ময়ের। কিন্তু আমরা ওর বাড়িতে চোরাকুঠুরি থেকে অস্ত্র কারখানার হদিশ পেয়েছি। ওকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই কারবারের নাড়ি-নক্ষত্র জানার চেষ্টা করা হবে। আপাতত যা তথ্য হাতে এসেছে, তাতে একটি বড় চক্র এর পিছনে কাজ করছে বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার কলকাতায় অস্ত্র সহ এসটিএফের হাতে ধরা পড়েছিল সুজাত। তার এক সঙ্গীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। দু’জনেই হুগলির শ্রীরামপুরের বাসিন্দা। কলকাতায় ওই দু’জন গ্রেপ্তারের পর ওই রাতেই পুলিসের হাতে ধরা পড়ে ওই গ্রুপের আরেক সদস্য। তার কাছ থেকে তথ্য পেয়ে ভোররাতে সুজাতের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিস। সেখানেই চোরাকুঠুরিতে ছোটখাট অস্ত্র কারখানার হদিশ মেলে। আধুনিক লেদ মেশিন, আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য উপকরণ পাওয়া যায়। শ্রীরামপুরের উপ সংশোধনাগারের উল্টোদিকেই সুজাতে বাড়ি। সেখানেই চলছিল এই অস্ত্র কারখানা। সুজাত শুধু প্রতিবেশীদের কাছে ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত, তাই নয়, তার পরিবারেরও সুনাম আছে। তাদের একটি গ্রিল তৈরির কারখানা আছে। পুলিসের অনুমান, সেই গ্রিলের কারখানাকে ঢাল করেই অস্ত্র ব্যবসা ফেঁদে বসেছিল সে। কিন্তু একটি শিক্ষিত ছেলে কেন এই অপরাধের পথে হাঁটল, তা নিয়ে পুলিসও বিভ্রান্ত। পাড়ার ভালো ছেলেটি কোথায়, কীভাবে অস্ত্র তৈরির প্রশিক্ষণ পেল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।