রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
ভর্তি করানো হয়েছে। সোমবার রাতে বালিটিকুরি রেলব্রিজের কাছে এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা রাতেই ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালান।
এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। এমনকী পুলিসকর্মীকে মারধর, তাদের গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, মৃত মহিলার নাম সুলতানা পারভিন। স্বামী নিসার আহমেদের বাইকে চেপে শিশুকন্যা নিমত পারভিনকে কোলে নিয়ে এদিন রাতে তাঁরা হাওড়া-আমতা রোড ধরে বাঁকড়া পশ্চিমপাড়ায় তাঁদের বাড়িতে ফিরছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোমবার রাত ৯টা নাগাদ বাইকটিকে একটি বালিবোঝাই ডাম্পার ওভারটেক করতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। ওই সময় সুলতানার চুল কোনওভাবে ডাম্পারের চাকার সঙ্গে জড়িয়ে যায়। বিপদ বুঝে বাইক থেকে পড়ে যাওয়ার আগে কোলে থাকা শিশুকন্যাকে কিছুটা দূরে ছুঁড়ে ফেলেন সুলতানা। কিন্তু নিজেকে আর রক্ষা করতে পারেননি। ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। গুরুতর জখম শিশুকন্যা এবং জখম স্বামীকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এদিকে এই দুর্ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিস দেহ উদ্ধারের জন্য এলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বহু মানুষ। হাওড়া-আমতা রোড অবরোধ করা হয়। ইট ছুঁড়ে ভেঙে দেওয়া হয় পুলিসের একটি
গাড়ি। ঘাতক লরিটির চালক ও খালাসি পালিয়ে যায়। কিন্তু লরিটিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। দাশনগর থানার এক কর্তব্যরত পুলিসকর্মীকে মারধরের অভিযোগও উঠেছে। পরে বিশাল পুলিসবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এসব করতে করতেই প্রায় দু’ঘণ্টা কেটে যায়। ফলে রাতে ব্যাপক যানজট ছড়িয়ে পড়ে এই রাস্তায়। ডাম্পারের চালক ও খালাসির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই রাস্তায় ওই সময়ে বড় লরি, ডাম্পার ইত্যাদি ‘নো এন্ট্রি’ থাকার কথা। তাহলে কীভাবে ডাম্পারটি ঢুকে পড়ল রাস্তায়? আরও অভিযোগ, পুলিসের একাংশের সঙ্গে নিয়মিত মাসোহারার লেনদেনেই এভাবে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ‘নো এন্ট্রি’ থাকা সত্ত্বেও ঢুকে পড়ে বড় লরি, ট্রাক ইত্যাদি। এদিনও তেমন ঘটনা ঘটেছে। তা না হলে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটত না।