কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
উল্লেখ্য, হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে পুজোর দিনগুলিতে বৃষ্টির আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের উপরে থাকা ঘূর্ণিঝড় নিম্নচাপের চেহারা নিয়েছে। সেই নিম্নচাপ জোরালো না হলেও মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় দুশ্চিন্তা রয়েছে। ফলে পুজোয় বৃষ্টির আশঙ্কা থাকছে। ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী— ভালো বৃষ্টি হতে পারে শহরে। তবে একটানা ভারী বৃষ্টি না হলেও মাঝেমধ্যেই শহর ও শহরতলি ভিজতে পারে বর্ষায়। আকাশ থাকবে মেঘাচ্ছন্ন। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতাও থাকবে বেশি।
আকাশের মুখ ভার হলেই মুখ ভার হয় পুরসভার নিকাশি বিভাগের কর্মীদের। পুজোর মধ্যে ভালো বৃষ্টি হলে জল নামানোই তখন অগ্রাধিকার পুরকর্মীদের। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নিকাশি বিভাগের কর্মীদের অনেকের ছুটিই বাতিল করা হয়েছে। তৈরি হয়েছে ডিউটি রোস্টার। খোলা থাকছে কন্ট্রোল রুম, সবকটি পাম্পিং স্টেশন। এছাড়াও পামারবাজার, টালা এবং দক্ষিণ কলকাতায় তৈরি রাখা হচ্ছে নিকাশিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের গাড়ি, গালিপিঠ এম্পটিয়ার, ব্লো ভ্যাট, জেট কাম সাকশন। প্রায় ৩০-৩২টি গাড়ি প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। এছাড়াও ধর্মতলায় পুরভবনের বাইরে থাকবে আলাদা গাড়ি, সঙ্গে বিশেষ দল।
এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য তারক সিং বলেন, প্রতি বছর যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়। এ বছরও তেমনটাই করা হয়েছে। তবে যেহেতু এবছর পরিস্থিতি ভিন্ন, তাই বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন করা হয়েছে। নতুন কোনও ব্যবস্থা নয়, যেহেতু ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, তাই কর্মীরা সতর্ক থাকবেন। বিভাগীয় কর্তাদের মতে, প্রতিবছরই পুজোর আগে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়। ফলে আগেভাগেই আমাদের যাবতীয় ব্যবস্থা সেরে রাখতে হয়।
দিন কয়েক আগেই মাত্র ৪৫ মিনিটের বৃষ্টিতে ভেসেছিল ঠনঠনিয়া অঞ্চল। যদিও ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সেই জল নেমে গিয়েছে। এছাড়াও, সংযুক্ত কলকাতার গড়িয়া, বেহালার বিভিন্ন অংশ, খিদিরপুর, মোমিনপুর, ওয়াটগঞ্জ প্রভৃতি এলাকায় ভূগর্ভস্থ নিকাশিনালার কাজ চলায় একটু বেশি বৃষ্টিতে দীর্ঘক্ষণ জল জমে থাকছে বলে অভিযোগ। ফলে পুজোর দিনগুলিতে টানা কিংবা বিক্ষিপ্তভাবে অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে শহরের কিছু অংশ জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। সেক্ষেত্রে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হবে উৎসবমুখী মানুষকে। তাই সবদিক ভেবেই যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখছে পুর-কর্তৃপক্ষ।