গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
দর্শক টানার রেকর্ডে পুজো কমিটিগুলির মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে শ্রীভূমি। এছাড়াও দমদম পার্কের একাধিক পুজোতে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের ভিড় হয়। করোনা পরিস্থিতির জেরে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে উঠে এসেছে ৫-১০ মিটার পর্যন্ত দূরত্ব বজায় রাখার প্রসঙ্গ। যা নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে পুজো কমিটিগুলি। তবে ট্রাফিক পুলিসের আধিকারিকরা প্রথম থেকেই সজাগ। তাই এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, শ্রীভূমি থেকে হেঁটে ভিআইপি রোড ধরে দমদম পার্ক পর্যন্ত আসতে পারবেন না দর্শনার্থীরা। সেক্ষেত্রে লেকটাউনের ভিতরের রাস্তা দিয়ে বাঙুর হয়ে সাবওয়ে পর্যন্ত যেতে হবে। তারপর কেষ্টপুর খাল সংলগ্ন রাস্তা ধরে আসতে হবে দমদম পার্ক। মূলত ভিড় এড়ানোর জন্যই এই ব্যবস্থা, জানিয়েছেন বিধাননগরের ডিসি ট্রাফিক ধৃতিমান সরকার। প্রশাসনের নজরে এসেছে, বিগত কয়েক বছরে শ্রীভূমির প্রতিমা দেখার পরে ভিআইপি রোড ধরে এয়ারপোর্টের দিকে আসতে থাকেন দর্শনার্থীরা। তাই এবার পথচলতি জনতার মধ্যে যাতে দূরত্ব বজায় থাকে, সেদিকে বিশেষ নজর দিয়েছে কমিশনারেট। পুজোর ক’টা দিন উল্টোডাঙা থেকে কেষ্টপুর পর্যন্ত গাড়ির ইউ-টার্ন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। মূলত লেকটাউন অংশের যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য হলদিরাম ও চিংড়িঘাটা থেকে গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাসের জন্য থাকছে নির্দিষ্ট লেনের বন্দোবস্ত। এমনকী বাসগুলি যাত্রী তোলার জন্য ইচ্ছেমতো দাঁড়াতে পারবে না বলেও খবর। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে বিধাননগর পুলিস কমিশনারেটের পক্ষ থেকে রাস্তার উপরে দিকনির্দেশিকা দেওয়া হচ্ছে। ভিআইপি রোডের ফুট ওভারব্রিজগুলিও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে কমিশনারেটের পক্ষ থেকে বিশেষ একটি অ্যাপ আনা হয়েছে। সেখানে ক্লিক করলে কোন পুজো মণ্ডপে কত ভিড়, তা জানা যাবে। কিউ অ্যাপে লাল, হলুদ, সবুজ রং দর্শনার্থীদের সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। অঞ্জলি ও সিঁদুর খেলার জন্যও নির্দিষ্ট সময় চিহ্নিত করার ব্যবস্থা থাকছে। ইতিমধ্যে ৫০টির বেশি পুজো কমিটি এই অ্যাপের আওতায় এসেছে।