পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এই ব্রিজটি তৈরির দায়িত্বে পূর্তদপ্তর। প্রথমে ঠিক ছিল, বাংলা নববর্ষের আগেই নতুন ব্রিজের উদ্বোধন হবে। তারপর নানা জটিলতায় কাজের গতি শ্লথ হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ঠিক হয়, দুর্গাপুজোর আগেই নয়া সেতু খুলে দেওয়া হবে যান চলাচলের জন্য। কিন্তু করোনা আবহে কাজের গতি ফের থমকে যায়। তারপর স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রিন জোনগুলিতে নির্মাণকাজ শুরুর অনুমতি মেলায় ফের জোরকদমে শুরু হয় নির্মাণ পর্ব। মাঝেরহাট সেতুর নীচ দিয়ে গিয়েছে শিয়ালদহ-বজবজ শাখার ট্রেন লাইন। চক্ররেলও চলাচল করে এই স্টেশন দিয়ে। লকডাউনে দেশজুড়ে একমাত্র পণ্য পরিবহণ ছাড়া রেল পরিষেবা বন্ধ ছিল। এখন দূরপাল্লার কয়েকটি স্পেশাল ট্রেন চালু হলেও আমজনতার জন্য লোকাল ট্রেনের চাকা গড়ায়নি। তাই এই সময়কে কাজে লাগিয়ে দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে গিয়েছে ব্রিজের কাজ। সূত্রের খবর, প্রথমদিকে ছোট গাড়ি চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে কালীপুজোর আগে সব কাজ শেষ হয়ে গেলে এটি পুরোপুরি খুলে দেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, এখনও কিছু কাজ বাকি রয়েছে। পুজোর মরশুমেই এই ব্রিজ দিয়ে গাড়ি চলাচল করবে। সেই চেষ্টাই চলছে। ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ভেঙে পড়েছিল মাঝেরহাট সেতু। তারপর থেকে মাঝেরহাট, তারাতলা, বেহালা, পর্ণশ্রী, মহেশতলা, বজবজ, পূজালি, সরশুনা, ঠাকুরপুকুর, জোকা, পৈলান, বিষ্ণুপুর, আমতলা দিয়ে যাঁরা নিয়মিত আলিপুর বা ধর্মতলা কিংবা দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন অংশে যাতায়াত করেন, তাঁদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যদিও এই সমস্যা মেটাতে রাজ্য সরকার নিউ আলিপুরের কাছে একটি বেইলি ব্রিজ এবং টালিনালার উপরে মহাবীরতলা এবং হরিদেবপুরে আরও দু›টি নতুন সেতু চালু করেছে। তাতেও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। এখন কালীপুজোর আগে ব্রিজ খুলে গেলে প্রায় দু’বছরের প্রতীক্ষার অবসান হবে। আবার স্বাভাবিক নিয়মে গাড়ি ছুটবে ডায়মন্ডহারবার রোড ধরে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন নিত্যযাত্রীরা। -নিজস্ব চিত্র