গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
চাঁপদানিতে ‘পাড়ার মস্তান’ হিসেবেই বেড়ে ওঠা সান্টিয়ার। চমক-ধমক, তোলাবাজি, রাহাজানি দিয়েই অপরাধের হাতেখড়ি তার। কিছুদিনের মধ্যে ‘গুণ্ডা’ হিসেবে পুলিসের খাতায় নাম উঠে আসে সান্টিয়ার। তার বেড়ে ওঠার পর্বে জেলায় সমাজবিরোধীদের দু’টি গ্রুপ ছিল। তার একটি হল চুঁচুড়ার ডন টোটন বিশ্বাসের গ্রুপ। তবে এই দু’টি গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত না সান্টিয়া। বরং সান্টিয়ার সঙ্গে একসাথে নাম উচ্চারিত হতো আরেক দুষ্কৃতীর। ব্যান্ডেলের হিদ্দা। বস্তুত হিদ্দা আর সান্টিয়া ছিল জুটি। দু’জনে মিলে জেলার বেশ কিছু জায়গায় অপরাধমূলক কাজ করেছে। ব্যান্ডেল ফাঁড়ি, চুঁচুড়া, চাঁপদানি, রিষড়া থানায় দু’জনের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জনেই দাগী অপরাধী হলেও তারা স্থায়ী কোনও দল গড়েনি। বরং দু’জনেই সুপারি কিলার হিসেবে বেশি পরিচিতি পেয়েছিল।
বছর দু’য়েক আগে ভদ্রেশ্বরে একটি খুনের ঘটনার পর সান্টিয়া হুগলি থেকে উধাও হয়ে যায়। তবে অন্য জেলা থেকে তার অপরাধমূলক কাজের খবর আসতে শুরু করে। গত মার্চ থেকে তাকে মালদহে দেখা যাচ্ছিল। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের রতুয়ার এক নেতার নিরাপত্তার কাজে যুক্ত ছিল সান্টিয়া। রতুয়ার ওই নেতাও ‘বাহুবলী’ হিসেবে পরিচিত। অনেকেই ওই নেতার সঙ্গে সান্টিয়াকে দেখেছেন। রবিবারের ঘটনার পর তাঁদের অনেকেই বিস্মিত। তাঁদের একাংশের দাবি, গাট্টাগোট্টা মাঝারি আকারের ওই যুবককে দেখে মনেই হয়নি, সে দাগী সমাজবিরোধী। মুখে সবসময় হাসি লেগে থাকত। আচরণ ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ। যা শুনে হাসতে হাসতে রাজ্য পুলিসের এক অফিসার বললেন, সত্যিই যদি এমনটা হতো! এই আবাসন থেকে ঝাঁপ দিয়েই মৃত্যু হয় সান্টিয়ার। -নিজস্ব চিত্র