কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ফ্ল্যাটটির মালিক অতুল ইয়াসিন ওরফে ইয়াসিন শেখ। তিনি তৃণমূল পরিচালিত মালদহ জেলা পরিষদের এক কর্মাধ্যক্ষের স্বামী। পুলিসের দাবি, শাসকদলের সঙ্গে যোগ থাকায় ইয়াসিনকেই ঢাল করেছিল ওই দুষ্কৃতী। তার দেহরক্ষী হয়ে নির্ভয়ে ঘুরে বেড়াত। ফ্ল্যাটটিকে কার্যত ডেরা বানিয়ে তুলেছিল সান্টিয়া। ইয়াসিনের অবশ্য দাবি, তিনি সান্টিয়া নামে কাউকে চেনেন না। শুক্রবারই কলকাতা থেকে আজমির রওনা হয়েছেন। ফ্ল্যাটে কী হয়েছে, তা তাঁর জানা নেই। তবে চালক-রাঁধুনির কাছে ডুপ্লিকেট চাবি থাকার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে, মাথায় আঘাতের পাশাপাশি সান্টিয়ার কলার বোনও চুরমার হয়ে গিয়েছে। গত সোমবার, ১২ অক্টোবর ফ্ল্যাটে এসেছিলেন ইয়াসিন। সঙ্গী আব্দুল হুসেন। ১৬ অক্টোবর ইয়াসিন চলে গেলেও গাড়িচালক, রাঁধুনি এবং হুসেন থেকে যায় ফ্ল্যাটে। শনিবার কলকাতা পুলিসের এক কনস্টেবল সেখানে আসে। চারজনে মদ্যপান করছিল।
যৌনপল্লি থেকে দুই মহিলা আসার পরই গোলমাল শুরু। ভাঙা হয় মদের বোতল। তার আঘাতে এক যৌনকর্মীর মাথাও ফাটে। বচসা গড়ায় আবাসনের নীচ পর্যন্ত। খবর যায় সেক্রেটারি আশিস বসুর কাছে। তিনিই পুলিসে খবর দেন। বলছিলেন, ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখি, দরজা বন্ধ। বাইরে দু’জন মহিলার থেকে পুরো ঘটনা জানি। এর মধ্যে চলে আসে পুলিস। তাদের দেখেই জানলার কাচ ভেঙে প্রথমে দু’টি পর্দা পাকিয়ে এবং পরে নাইলনের একটি দড়ি ধরে নীচে নামার চেষ্টা করে হুসেন। কিন্তু পারেনি। শেষমেশ মরিয়া হয়ে ঝাঁপ দেয় সে।