গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে খবর, রাত পৌনে ১টা নাগাদ জোরালো আওয়াজে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। স্থানীয় মানুষ এবং অন্যান্য ব্যবসায়ীরা পুকুর থেকে জল এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও সেই উদ্যোগ খুব একটা কাজে দেয়নি। কারখানাটি হাড়ালের মূল রাস্তা থেকে অনেকটা ভিতরে সঙ্কীর্ণ গলিতে হওয়ায় দমকলের গাড়ি ঢুকতে পারেনি। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, কারখানার অ্যাসবেস্টস ও টিনের ছাউনি উড়ে গিয়েছে। কালো ধোঁয়ায় ঢাকা পড়েছিল গোটা এলাকা। আশপাশের গাছের পাতাও আগুনে ঝলসে গিয়েছে। কারখানার পাশেই রয়েছে জনস্বাস্থ্য বিভাগের জায়গা রয়েছে। উত্তাপে সেই জমির পাঁচিলেও ফাটল ধরেছে।
জানা গিয়েছে, সাত-আট বছর ধরেই বেআইনিভাবে এই কারখানা চালাচ্ছিলেন খোকন নস্কর। তুবড়ি, রং মশাল সহ নানা ধরনের বাজি তৈরি হতো এই কারখানায়। অভিযোগ, শব্দবাজিও তৈরি করা হতো এখানে। প্রচুর মহিলা, পুরুষ এখানে কাজ করতেন। রবিবার সন্ধ্যার পরও কাজ হয়েছে। এদিন সকালে এলাকায় গিয়ে দেখা গেল তখনও কোথাও কোথাও দপদপ করছে আগুন। কারখানার ভিতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে পুড়ে যাওয়া কৌটো, বালতি, দাঁড়িপাল্লা। প্রসঙ্গত, সাউথ গড়িয়া, চম্পাহাটি, বেগমপুর অঞ্চলের প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাজি শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে অনেকেই বিনা লাইসেন্সে এই কারবার করছেন বলে অভিযোগ। বিভিন্ন সময়ে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটলেও টনক নড়েনি ব্যবসায়ীদের। বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাড়াল আতসবাজি ব্যবসায়ী সংগঠনের মদতেই বেআইনিভাবে এই কারখানা গড়া হয়েছিল। যদিও ওই সংগঠনের সদস্য সুধাংশু দাস বলেন, কারখানায় বাজি তৈরি হতো না। এখানে বাজির প্যাকেট, বস্তা ইত্যাদি রাখা হতো। তাতে কোনওভাবে আগুন লেগে গিয়েছে।