বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সিঁথির ‘পল্লীবাসীবৃন্দ’ এতদিন সংশয়ে ছিল পুজোর খরচ জোগাড় নিয়ে। কর্মকর্তারা জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা আমাদের মতো ছোট পুজো কমিটিগুলিকে বাঁচিয়ে দিল। সরকারের ঘোষণার পর রবিবার বিকেলে পল্লীবাসীদের সঙ্গে বৈঠক করে জানিয়ে দেওয়া হল, ছোট হলেও পুজো হচ্ছে।
শহরতলি ও জেলার একাধিক ছোট পুজো কমিটি বলছে, বাজেট নিয়ে দুশ্চিন্তার মেঘ অনেকটাই কেটেছে সরকারের ঘোষণায়। দেড়-দুই লক্ষ টাকা যাদের বাজেট ছিল, তাদের মেরুদণ্ড সোজা করে দিয়েছে। আর শুধু ৫০ হাজার নয়, স্থানীয় প্রশাসনের ফি মকুব এবং বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ছাড় ধরলে, অনুদানের অঙ্ক পৌঁছে যাবে ৭০ হাজারের কাছাকাছি।
ত্রিধারা সম্মিলনী থেকে বরানগর লোল্যান্ড কিংবা দমদম পার্ক তরুণ সংঘের মতো বিগ বাজেটের পুজো কমিটিগুলি বলছে, এবার স্পনসর বা বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকেও আশানুরূপ সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। বিগত বছরে ৫০ হাজার টাকার গেট এবার ৩০ হাজারে নীচে দর দিয়েছে। হোর্ডিং ৫০০০ টাকা কমে হয়েছে ২০০০। তার উপর সংখ্যায় কম। আয়ের রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ার ফলে চোখ জোড়ানো আলোর খেলা কমাতে বাধ্য হয়েছে কলেজ স্কোয়ার। আর উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার আবাসনগুলি থেকে যে আলোর মালা নেমে আসত, সেও কমাচ্ছে পুজো কমিটিগুলি। ভিড় এড়াতে সব পুজো কমিটির বার্তা, এবছরটা সোশ্যাল মিডিয়াতে চোখ রাখুন। সেই নিরিখে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের আবেদন, এবার হেঁটে নয়, নেটে পুজো দেখুন। ভিড় বেশি হয়ে গেলে প্রয়োজনে প্রতিমা দর্শন বন্ধ করে দেওয়া হবে এমন চিন্তা ভাবনাও রয়েছে। ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে ঘরে বসে পুজার অঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে সল্টলেকের এফডি পুজো কমিটি। বাড়িতে প্যাকেট দেওয়া হবে। লাইভে দেখে মন্ত্রোচ্চারণ করে পুষ্পাঞ্জলির ফুল ওই প্যাকেটে রাখবেন বাসিন্দারা। পরে তা স্যানিটাইজ করে পুজো কমিটি ঠাকুরের পায়ে নিবেদন করবে।
পুজোর চারদিন পাড়া-প্রতিবেশীদের নিয়ে একসঙ্গে বসে খাওয়া এবার বন্ধ রেখেছে পুজো কমিটিগুলি। প্রয়োজনবোধে বাড়ি বাড়ি লাঞ্চ প্যাকেট পৌঁছনোর পরিকল্পনা রয়েছে। দক্ষিণের বাবুবাগান থেকে উত্তরের ন’পাড়া দাদাভাই সংঘ পার্সলে ভোগ বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। করোনা অসুর বধের প্রার্থনা করে পুজো কমিটিগুলি জানিয়েছে, দর্শক গণদেবতা। থিম কিংবা সাবেকির লড়াই থেকে এবারে গুরুত্বপূর্ণ, সুস্থভাবে দর্শন করিয়ে দর্শনার্থীদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা।