পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
২০১৯ সালে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে চাঙ্গা করতে তাদের স্কুলের পোশাক তৈরি ও সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। হুগলি জেলায় এবারও সেই দায়িত্ব পেয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি। প্রশাসনের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাপ নিয়ে এই পোশাক বানানো হচ্ছে। হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ গোপাল রায় বলেন, স্কুলের পোশাক হলেও পুজোর মুখে নতুন জামাকাপড় নিঃসন্দেহে গ্রামবাংলার পড়ুয়াদের আকর্ষণ বাড়াবে। পাশাপাশি, পোশাক যাতে ঠিক হয়, তারজন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাপ নেওয়ার যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছে, তাকে স্বাগত। সর্বোপরি এই পরিকল্পনার ফলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিও চাঙ্গা হবে।
সর্বশিক্ষা মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি তথ্য অনুযায়ী, হুগলির ৪৭টি সার্কেলের পড়ুয়ারা এই পোশাক পাবে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৭ হাজার ৯১৪ জন। তবে প্রি-প্রাইমারির জন্য ইতিমধ্যেই আলাদা করে ইউনিফর্ম গ্রান্ট দেওয়া হয়েছে। ফলে একই শিক্ষার্থী যাতে দু’বার পোশাক না পায়, তা দেখতে বলা হয়েছে। গোটা বিষয়টি গ্রামীণ এলাকায় বিডিও এবং শহর এলাকায় এসডিওদের দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে যাতে পোশাক তৈরির পুরো কাজ হয়, তাও নিশ্চিত করতে বলেছে রাজ্য সরকার।
পোশাক নিয়ে সর্বশিক্ষা মিশন যে গাইডলাইন দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, সরবরাহকারীকে আইএসও ৯০০১: ২০১৫ শংসাপত্র যুক্ত কাপড় সরবরাহ করতে হবে। এর জন্য যাবতীয় নথি স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দিতে হবে। পোশাক তৈরির কাজ দেওয়া হবে সেই সব ব্যক্তিদের, যাঁরা সরকারি লাইভলিহুড মিশনের আওতায় কাজ করেন। ফলে পুজোর মুখে স্বনির্ভর গোষ্ঠী তো বটেই, গ্রামীণ প্রকল্পের আওতায় বহু দর্জিও আয়ের মুখ দেখবেন।