কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শোকস্তব্ধ বিশরপাড়ার উত্তর নীলাচলের দীপায়নের বাগদত্তা মেধা পালের বাড়ির এলাকাও। পাড়ার মেয়ের এই আকস্মিক মৃত্যু মানতে পারছেন না এলাকাবাসী। শনিবার গভীর রাতে একমাত্র মেয়ের মৃত্যুর খবর আসে বাড়িতে। তারপর থেকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন বাবা নবীনকিশোর পাল এবং মা সোনালি পাল। বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, মাঝেমধ্যেই জ্ঞান হারাচ্ছেন সোনালিদেবী মাঝেমধ্যেই জ্ঞান হারাচ্ছেন। কান্নাভেজা গলায় নবীনবাবু বলেন, ‘মেয়ের বিয়ের জন্য প্রস্তুতি চলছিল। বাড়িতে খুশির পরিবেশ ছিল। এখন সব শেষ হয়ে গেল।’ তিনি জানান, মায়ের সঙ্গে মেধার রাত সাড়ে আটটার সময় শেষবার কথা হয়েছিল। তখন মেধা মা’কে বলেছিলেন, তিনি ও দীপায়ন রাতের খাবার খেয়ে ফিরবেন। কিন্তু, রাত সাড়ে দশটার পর আর মেয়ে এবং হবু জামাইকে ফোনে পাননি পাল দম্পতি। এরপরই একজন মেধার ফোন থেকে সোনালিদেবীকে ফোন করে দুর্ঘটনার খবর দেন।
পড়শিরা জানান, মেধা আবৃত্তি, নাটক, গান সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। অন্যদিকে, বরানগর স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন দীপায়ন। সেই টিমের প্রশিক্ষক প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কী থেকে কী হয়ে গেল, কিছুই বুঝতে পারছি না। দীপায়ন খুব ভালো ব্যাটিং করত। ওর অনেক রান রয়েছে। প্রথম এবং দ্বিতীয় ডিভিশনে ক্রিকেট খেলেছে। এমন প্রাণবন্ত ছেলে এভাবে অকালে চলে যাওয়াটা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছি না।’ বরানগর পুরসভার তরফে পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দিলীপনারায়ণ বসু এবং কো-অর্ডিনেটর অঞ্জন পাল সমবেদনা জানিয়ে বলেন, ‘ক্লাবের এক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে হারলাম।
ওর পরিবারের পাশে সর্বদা থাকার চেষ্টা করব।’