রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দরবন সংলগ্ন ২০টি ব্লকের মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মাছ ধরা ও কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত। কাকদ্বীপ, নামখানা, রায়দিঘি, কুলতলি, ডায়মন্ডহারবারের মতো এলাকা থেকে হাজার হাজার ট্রলার ও নৌকা গভীর সমুদ্রে যায় মাছ ধরতে। কিন্তু ফিরে আসার পর নির্দিষ্ট কোনও বন্দর না থাকায় অসুবিধার মুখে পড়ছেন মৎস্যজীবীরা। তাছাড়া টন টন মাছ নামানোর জন্য কোনও বন্দর নেই কাকদ্বীপ মহকুমায়। যে কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় নদীর পাড়ে ট্রলারগুলিকে নোঙর করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন মৎস্যজীবীরা। ফলে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনাও ঘটছে বলে জানা গিয়েছে।
সে সব মাথায় রেখেই ফ্রেজারগঞ্জের মতো নামখানায় মৎস্যবন্দরের পরিকল্পনা নেয় রাজ্য সরকার। মূলত মৎস্যজীবীরাই এই দাবির কথা জানিয়েছিলেন সরকারকে। তার ভিত্তিতেই ওই সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। জানা গিয়েছে, এই বন্দর তৈরির জন্য কম করে ৪০ কোটি টাকা প্রয়োজন। সেই হিসেব কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে। কারণ পুরোটা রাজ্যের পক্ষে করা সম্ভব নয়। তবে এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগ উঠেছে। মন্ত্রীর কথায়, ওরা মুখে বললেও কাজের কাজ করছে না।
হরিপুরে একটি ল্যান্ডিং সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৎস্যজীবীদের বক্তব্য, প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ কেনাবেচা হয়। এর জন্য সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার। মৎস্যবন্দর না থাকার কারণে সমস্যা তো হচ্ছেই। তাই এই বিষয় নিয়ে সরকারের কাছে দরবার করা হয়েছিল। বন্দর তৈরি হলে কী সুবিধা হবে? মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, বন্দর তৈরি হলে মাছগুলি এক জায়গায় নামানো যাবে। যে জায়গায় এই বন্দর করার পরিকল্পনা, তার পিছনেই রয়েছে বাজার। ফলে মৎস্যজীবীদের মাছ বিক্রি করতে সুবিধা হবে।