কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
হঠাৎ কেন এই অভিযান? পুলিস সূত্রে খবর, শহরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে বেশ কিছু কল সেন্টার। কিছুদিন ধরে এনিয়ে অভিযোগ আসছিল। ডিওটির অনুমোদন ছাড়া কল সেন্টারে তল্লাশি চালানো যায় না। এইসব সেন্টার থেকে ফোন যায় বিদেশে। যা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যন্ত বিপজ্জনক। ‘টেক সাপোর্ট’ দেওয়ার নাম করে এখান থেকে বিদেশিদের প্রতারিত করা হয়। একেক জনের কাছ থেকে আট থেকে দশ লক্ষ টাকা নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কোথাও কোথাও প্রতারণার অঙ্ক আরও বেশি। এ নিয়ে বিদেশ থেকেও অভিযোগ আসছে। দিনের পর দিন অভিযোগের বহর বাড়ছে। যা নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত আধিকারিকরা।
লালবাজারের কর্তারা শেষ পর্যন্ত বেআইনি কল সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযানে নামার সিদ্ধান্ত নেন। খোঁজ করতে গিয়ে দেখা যায়, কসবা, বেনিয়াপুকুর ও যাদবপুর এলাকায় এই ধরনের বেশ কিছু কল সেন্টার রয়েছে। লালবাজারের সাইবার সেলের অফিসাররা তিনটি দলে ভাগ হয়ে এই জায়গাগুলিতে তল্লাশি চালান। যাদবপুর, বেনিয়াপুকুর ও কসবায় মোট তিনটি বেআইনি কল সেন্টারের খোঁজ মেলে। যাদবপুর ও বেনিয়াপুকুর থেকে মোট ছ’জন এবং কসবা থেকে ছ’জনকে পাকড়াও করা হয়। এঁরা সকলেই কল সেন্টারের মালিক ও অংশীদার বলে জানা যাচ্ছে। তল্লাশির সময় এখান থেকে বিদেশে কল করা হচ্ছিল বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
এর পিছনে আরও বড় চক্র রয়েছে বলে গোয়েন্দাদের অনুমান। এই তিন জায়গা ছাড়া কলকাতার আরও কয়েকটি এলাকায় বেআইনি কল সেন্টার চলছে বলে খবর পেয়েছেন আধিকারিকরা। সেগুলির বিষয়ে খোঁজখবর চলছে।