বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত ২৪ জুলাই রাজস্থান থেকে বকুলতলার দিকে ১১টি উট ট্রাকে করে পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। অভিযোগ ওঠে এর মধ্যে ৪টি উট গাড়িতেই মারা যায়। বারুইপুর থানার পুলিস ৭টি উটকে উদ্ধার করে কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। উটের দেখভালের জন্য পুলিস থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে। তাদের রাখা হয়েছিল উত্তরভাগের সত্যানন্দ আশ্রম সংলগ্ন এলাকায়। কিন্তু দু'মাসের মধ্যেই তিনটে উট মারা যায়। এরপরে বৃহস্পতিবার সন্ধের পর একটি উট আশ্রমের পিছনেই খালে পড়ে গেলে শোরগোল পড়ে যায়। রাতভর পড়ে থাকার পর সকালে উদ্ধারে নামেন এলাকার স্থানীয় ছেলেরাই। কোমরসমান জলে নেমে কয়েক ঘন্টার চেষ্টায় উটটিকে উদ্ধার করা হয়। যদিও এই ব্যাপারে পুলিস বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে ধারেকাছে দেখা যায়নি। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্তা বলেন, ‘জেসিবি মেশিন আনার জন্য চেষ্টা চালিয়েছিলাম। কিন্তু তা পাওয়া যায়নি।’ পুলিস জানিয়েছে,এই ঘটনা তাদের জানানোই হয়নি। উটের দায়িত্বে থাকা কিশোর গুড্ডু মণ্ডল বলে, ‘উত্তরভাগ বাজারে আমি দড়ি আনতে গিয়েছিলাম। এসে দেখি খালে পড়ে গিয়েছে। রাত বলে উদ্ধার করা যায়নি।’ সাধারণ বাসিন্দারা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, চারটি উট থাকলেও তাদের রক্ষণাবেক্ষণে কোনও নজর দেওয়া হয় না। তাই এই পরিস্থিতি। সেখানে গিয়ে দেখা গেল, এদের শরীরে কোথাও চামড়া উঠে গিয়েছে। মুখের কাছ থেকে রক্ত বেরোচ্ছে। হাঁটার ক্ষমতাও নেই। যদিও গুড্ডুর বক্তব্য, ভেলি গুড়ের রস, ভুট্টা, ঘাস সব খাওয়ানো হয়। ওষুধও দেওয়া হয়। আশ্রমের এক আধিকারিক বলেন, যে পরিমাণ খাবার এদের দরকার তা দেওয়া হয় না।