কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এত বড় কাণ্ড ঘটানোর পরেও পুলিস হেফাজতে ঠান্ডা মাথাতেই রয়েছে বান্টি। তদন্তকারীদের কথায়, বান্টির হাবভাবে বড় সুপারি কিলারও হার মানবে। এখানেই শেষ নয়, আদৌ শ্বশুর-শাশুড়িকে খুনের কাজটি সুপারি কিলার ঠিকমতো করতে পেরেছে কি না, তা দেখার জন্য বান্টি ওই ঘরেই উপস্থিত ছিল। ওই দম্পতির মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর ওই দু’জন যেভাবে নারকেল গাছে চড়ে ঘরে ঢুকেছিল, সেভাবেই তারা নীচে নেমে চম্পট দেয়। একের পর রোমহর্ষক তথ্য শুনে রীতিমতো হতভম্ব তদন্তকারীরা। তাঁদের কথায়, কতটা আক্রোশ থাকলে একজন এ ভাবে খুনের পরিকল্পনা করে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে হাবড়ার টুনিঘাটা মণ্ডলপাড়ার বাসিন্দা তথা সেনাবাহিনীর প্রাক্তন কর্মী রামকৃষ্ণ মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী লীলা মণ্ডল খুন হন। প্রথমে এই ঘটনায় পুলিস রামকৃষ্ণবাবু ভাইয়ের জামাইকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু ওই যুবককে গ্রেপ্তারের পরেও তদন্তকারীদের মনে হয়েছিল কোথাও একটা ত্রুটি থেকে যাচ্ছে। তাই তদন্ত থেমে থাকেনি। তারপরই এই খুনের ঘটনার প্রকৃত রহস্য ফাঁস হয়। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃত বান্টি জেরায় জানিয়েছে, সে শুধু সম্পত্তির লোভেই শ্বশুর-শাশুড়িকে খুন করেছে তা নয়। শ্বশুরের জমিতে মোবাইলে টাওয়ারও বসাতে চেয়েছিল সে। একটি টেলিকম সংস্থার সঙ্গে বান্টি কথাবার্তাও সেরে ফেলে। কিন্তু রামকৃষ্ণবাবু তা সরাসরি নাকচ করে দেন। এর ফলে শ্বশুরের উপরে রাগ আরও বেড়ে যায়। বান্টির মুদিখানার দোকান রয়েছে। বাজারে তার সাত থেকে আট লক্ষ টাকা দেনা হয়েছিল। সে দেনা শোধ করার জন্য শ্বশুরের কাছে একাধিকবার টাকাও চায়। আগে একাধিকবার টাকা দিলেও এ বার রামকৃষ্ণবাবু টাকা দেননি। পরে টোটো স্ট্যান্ডের ম্যানেজারের কাজ করা, স্ত্রীয়ের নামে ইউটিউব চ্যানেল খোলা-সহ একাধিক কাজ করেছে। কিন্তু ধার শোধ করতে পারেনি।