পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রিপোর্টে ক্যাগ জানিয়েছে, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতা মেট্রোর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ প্ল্যাটফর্ম ও থার্ড লাইন তৈরির জন্য প্রস্তাব জমা দেয়। অপারেটিং ডিপার্টমেন্ট পুরোটা খতিয়ে দেখে। কিছু সীমাবদ্ধতার উল্লেখ করে অপারেটিং ডিপার্টমেন্ট জানিয়ে দেয়, ওইসব সমস্যার সুরাহা না হলে প্রস্তাবিত থার্ড লাইন, প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশন থেকে মেট্রোর পক্ষে অরিজিনেট ও টার্মিনেট করা সম্ভব হবে না। কিন্তু সেইসব সীমাবদ্ধতা কাটানোর উপায় বের না করেই মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশনে থার্ড লাইন ও প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করে ফেলা হয়। এতে ১১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা খরচ হয়। যেহেতু সমস্যার সুরাহা হয়নি, তাই এই খরচের উদ্দেশ্যই সফল হয়নি।
ক্যাগ জানিয়েছে, অপারেটিং ডিপার্টমেন্টের সুপারিশ না মেনে থার্ড লাইন ও প্ল্যাটফর্ম তৈরির পর তা কার্যকর করে দেওয়া হয় ২০১৬ সালের ৩ জুলাই। ২০১৬ সালেরই ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ওই নতুন লাইন ব্যবহার করে ১১ জোড়া ট্রেনের যাত্রা এবং টার্মিনেট করাও শুরু হয়। কিন্তু পরের মাসের ৩ তারিখই তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এর কোনও কারণ নথিভুক্ত করা হয়নি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, যদি দমদম থেকে কোনও ট্রেন মহানায়ক উত্তমকুমারের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসে, তাহলে ফের দমদমের দিকে যাত্রা শুরুর আগে ওই মেট্রোকে ইয়ার্ডে নিয়ে যেতে হয়। এই কাজ কবি সুভাষ থেকে দমদমগামী মেট্রো চলাচলে প্রভাব ফেলে। জবাবে রেল বোর্ড জানিয়েছে, থার্ড লাইন ও প্ল্যাটফর্মের প্রস্তাব জমা দেওয়া এবং অনুমোদনের সময় মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশনের (কেএমইউকে) কারশেড সম্পূর্ণভাবে কার্যকরী ছিল। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে ওই কারশেডের ‘ওয়ার্কলোড’ নোয়াপাড়া এবং কবি সুভাষ কারশেডে নিয়ে যাওয়া হয়। কার্যকারিতা না থাকার দরুণ থার্ড লাইনটিও অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। রেল বোর্ড জানিয়েছে, ওই অব্যবহৃত কারশেডের পুনরুজ্জীবনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তা পুরোদমে কার্যকরী হয়ে গেলেই থার্ড লাইন ব্যবহার করে ‘অরিজিনেটিং’ সার্ভিস শুরু করে দেওয়া যাবে।