বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিধানসভা ভোটের আগে পারদ যে চড়ছে, তা বঙ্গ রাজনীতির গতিপ্রকৃতিই বলে দিচ্ছে। আর ঘটনাচক্রে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব একেবারে রাস্তায় চলে আসছে। দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হচ্ছেন কর্মীরা। বুধবার এই ঘটনার সূত্রপাত মণ্ডল সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে। স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, দমদম-৩ মণ্ডল সভাপতির নাম ঘোষণা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই সরগরম হচ্ছিল রাজনীতি। মঙ্গলবার রাতে মণ্ডল সভাপতি পদে রাখি চক্রবর্তীর নাম ঘোষণা করেন কলকাতা উত্তরের বিজেপি সভাপতি কিশোর কর।
দমদম-সহ জেলার অন্যান্য অংশের মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এই তালিকা সামনে আসতেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, দমদম-৩ মণ্ডল সভাপতি করার কথা ছিল বাসুদেব মজুমদার অথবা তপন মুখোপাধ্যায়কে। কিন্তু দু’জনের মধ্যে কাউকেই না করে, সদ্য বিজেপিতে নাম লেখানো একজনকে মণ্ডল সভাপতি করা হয়েছে। এই তালিকা প্রকাশ নিয়ে শহরতলির সভাপতির দিকেই আঙুল তুলেছেন কর্মীরা।
বুধবার সকালে দমদম খালপাড়ের ধারে বিজেপি অফিসে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। অফিসের বাইরের দেওয়ালে বিজেপির প্রতীক আঁকা ছিল। সেসবও মুছে দেওয়া হয়। বাসুদেব মজুমদারের বক্তব্য, ‘৩০ বছরের উপরে বিজেপিতে আছি। একাধিক পদেও ছিলাম। পুরভোটে প্রার্থীও হয়েছি। কিন্তু মণ্ডল সভাপতি পদে যাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হল, তাঁকে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘মণ্ডল সভাপতি পদে যে নাম ঘোষণা করার কথা ছিল রাতারাতি তা বদলে গেল কী করে?’
যে বিজেপি কর্মীরা দলীয় অফিসে তালা দিয়েছেন, একমাত্র তাঁরা ছাড়া অন্য কেউ দরজা খুলতে পারবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, দমদমে ঘরে ঘরে পদ্মফুল সিম্বল পৌঁছে দিতে তাঁরা বছরের পর বছর পরিশ্রম করেছেন। অথচ দল তাঁদের মূল্যায়ন করছে না।
এ প্রসঙ্গে কলকাতা উত্তর শহরতলির বিজেপি সভাপতি কিশোর কর বলেন, ‘দল নতুন মুখ সামনে আনছে। ফলে মণ্ডল সভাপতি পদে যাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁকে সকলের গ্রহণ করা কর্তব্য। কার্যালয়ে তালা বা প্রতীক মুছে দেওয়াটা দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের মধ্যে পড়ে। বিষয়টি শীর্ষ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।’ কালি মাখানো হচ্ছে বিজেপির প্রতীকে।