বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
এনিয়ে জেলা পরিষদের সেচ কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ওই সেতুটি কার অধীনে, তা নিয়ে স্পষ্ট তথ্য নেই। তবে কুন্তল নদীর উপরে সেতুটি ছিল। তাই আমরা সেচবিভাগ থেকেই দায়িত্ব নিয়েছি। ইতিমধ্যেই ওখানে একটি কাঠের সেতু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্থায়ী সেতুর জন্য প্রকল্প তৈরি করতে বলা হয়েছে। তবে ওখানে ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বোর্ড লাগানো হয়েছিল। তা অগ্রাহ্য করায় ওই লরিচালকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও আমরা বলেছি। পাণ্ডুয়ার হরাল-দাসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিয়ালগুড়ি গ্রামের ওই সেতুটি ১৯৫৮ সালে তৈরি হয়েছিল। সম্প্রতি ওই সেতুটির জরাজীর্ণ অবস্থার কারণে তার উপর দিয়ে ভারী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেতুটির সংযোগকারী রাস্তাটি পিএমজিএসওয়াই প্রকল্পের আওতায় তৈরি। এদিন ওই সেতুর উপর দিয়ে বালি বোঝাই লরিটি যাওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীরা বাধা দেন। কিন্তু অভিযোগ, সেসব অগ্রাহ্য করে চালক লরি চালিয়ে দেয়। লরিটি সেতুর উপরে উঠতেই তা ভেঙে লরি সমেত কুন্তল নদীতে পড়ে যায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে লরির চালক ও সহকারি পালিয়ে যায়।
সেতুটি ছয়টি গ্রামের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করত। একইসঙ্গে ধনেখালি ও পাণ্ডুয়া ব্লকের মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম পথ ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিয়ালগুড়ি, হরাল, বারুল, কুলীনপাড়া, দত্তগ্রাম, জোগ্রামের মধ্যে সংযোগের মূল মাধ্যমই ছিল ওই সেতু। বারুলের বাসিন্দাদের প্রতিদিন হরাল বাজারে যেতে হয়। ফলে ব্যবসাবাণিজ্য সবই লাটে উঠবে বলেই গ্রামবাসীরা আশঙ্কা করছেন। জেলা পরিষদের তরফে কাঠের সেতু করার সিদ্ধান্ত হলেও আপাতত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থাতেই ওই ছয় গ্রামের মানুষকে থাকতে হবে। নিজস্ব চিত্র