পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
চলতি মাসের শুরুর দিকে সিদ্ধান্ত হয়, বেশ কিছু বিধিনিষেধ সহ মঙ্গলাহাট আংশিকভাবে চালু করা হবে। মাসের মাঝামাঝি জানানো হয়, আপাতত পরপর দু’সপ্তাহ শনিবার রাতে শুধুমাত্র স্থায়ী দোকানগুলি খোলা যাবে। রাত ৯টা থেকে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত স্থির হয় হাটের সময়সীমা। হাটের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত হলেও কেউ কেউ প্রশাসনের পরামর্শ মেনে রাতে দোকান খোলেন। কিন্তু ক্রেতার অভাবে রাত ১১টার মধ্যেই দোকানপাট গুটিয়ে ফেলেন বিক্রেতারা। শনিবারের উদাহরণ দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত হাট খোলা রাখার আবেদন জানান। তাঁদের সেই দাবি মেনে নিয়েই রবিবার হাট খোলার অনুমতি দেওয়া হল। জেলাশাসক এ বিষয়ে বলেন, রবিবার অর্থাৎ ২৭ সেপ্টেম্বর ভোর ৪টে থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত হাট খোলা থাকবে। মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, এই হাটের সঙ্গে অনেকের রুটি-রুজির প্রশ্ন জড়িয়ে রয়েছে। হাট বন্ধ থাকায় আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে বহু মানুষ এসে তাঁদের অসহায়তার কথা জানিয়েছেন। তাঁদের কথা ভেবেই হাট চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফের মঙ্গলাহাট স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলে বহু মানুষ যেমন বাঁচার রসদ পাবেন, তেমনই বিপদের ঝুঁকিও থেকে যাবে। বিশেষত যেভাবে ফুটপাতে বসে ব্যবসা করার অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে, তাতে হাসপাতাল, আদালত, পুরসভা, জেলা পরিষদ চত্বর মানুষের ভিড়ে ছেয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এত মানুষের মধ্যে দূরত্ববিধি মেনে চলা কতটা সম্ভব, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে একটাই আশার কথা, দিনটা রবিবার। হাসপাতাল বাদে গোটা অফিসপাড়াই সেদিন বন্ধ থাকে।