বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
করোনা মোকাবিলায় পুরসভার পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে ডেঙ্গু নিয়ে কোনওরকম গাফিলতি দেখানো হচ্ছে না বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের। তাদের বক্তব্য, বাড়ি বাড়ি সার্ভে, নোংরা-আবর্জনা পরিষ্কার চলছে রুটিন মাফিক। ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের রিপোর্ট হাসি ফুটিয়েছে কর্তৃপক্ষের মুখে। গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা যেখানে ৫০ ছাড়িয়েছিল, এবছর এখনও দ্বিতীয় অঙ্কের ঘরে পৌঁছয়নি। আধিকারিকরা বলছেন, পুরসভার পক্ষ থেকে যেমন সাফাই ও প্রচার-অভিযান চলছে, তেমনই মানুষ আরও সচেতন হলে দমদমকে ডেঙ্গুমুক্ত করা সম্ভব।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ড। পুরসভার তথ্য বলছে, গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এবছর এখনও পর্যন্ত তিনজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁরা সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু আক্রান্তের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি। এই সাফল্যকে ধরে রাখতে এলাকায় নজরদারির জন্য পুরসভা স্পেশাল টিম তৈরি করেছে। গাফিলতির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মীর কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হবে। পুরসভার ৮৩০ জন সার্ভে কর্মী এবং ৮০ জন সুপারভাইজার। স্বাস্থ্য বিভাগের প্রশাসক প্রবীর পাল বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবার কাজে যুক্ত পুরকর্মীদের ঘাটতি জানার চেষ্টা হচ্ছে। কোথাও লার্ভা পাওয়া গেলে কিংবা জল জমলে সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজারের জবাব চাওয়া হবে। পুরসভা সূত্রের খবর, দমদমে গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রায় ৭৫ জন। চলতি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একজনও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হননি। জানিয়েছেন পুর প্রশাসক হরিন্দর সিং। তাঁর আহ্বান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সহযোগিতা করুন।
উত্তর দমদম পুর এলাকায় গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায়। ৪০। সংখ্যাটা এবছর তার ধারেকাছেও নয়। পুর প্রশাসক সুবোধ চক্রবর্তী বলেন, আগস্টে দু’জন আক্রান্ত হন। তাঁরা এখন সুস্থ। ডেঙ্গু আক্রান্তের আর কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাধার মুখে পড়েছেন, এমন ঘটনা সামনে এসেছে দমদমের তিন পুরসভাতেই। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনা আবহে অনেক বাড়িতেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বিশেষত আবাসনগুলিতে বাধার মুখে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। সেক্ষেত্রে আবাসন কমিটিকে ডেঙ্গু রোধে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সামনেই দুর্গাপুজো। এই অবস্থায় ক্লাব ও পুজো কমিটিগুলির কাছেও পুরসভার পক্ষ থেকে বার্তা পৌঁছচ্ছে—ডেঙ্গু মোকাবিলায় তাদেরকেও সচেতনতার বার্তা জোরালোভাবে তুলে ধরতে হবে।