কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এই মামলার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার এক বিচিত্র কাহিনী। পুরুলিয়ার রায়নার বাসিন্দা গোবর্ধন মান্ডিকে ২০০৪ সালের ১৮ জুলাই ভুট্টা খেতের মধ্যে কুড়ুলের আঘাতে খুন করা হয়েছিল বলে পুলিসের কাছে অভিযোগ করেছিলেন মৃতের পুত্র হারাধন। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত হয় আদিত্য মান্ডি ছাড়াও তার দুই ছেলে সর্বেশ্বর ও চূনারাম। ঘটনাটি সুখমণি মান্ডি দেখেছিলেন বলে জানানো হয়। পুলিস সুখিমণির বয়ান নথিবদ্ধ করে। সেই বয়ান ও ময়নাতদন্তের রিপোর্টকে ভিত্তি করেই ২০০৫ সালে আদিত্যকে নিম্ন আদালত দোষী সাব্যস্ত করে। ছাড়া পায় সর্বেশ্বর ও চূনারাম। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয় আদিত্যকে মান্ডিকে। জেলে থেকে ২০০৬ সালে ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে আদিত্য।
১৩ বছর পর ২০১৯ সালে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। কেন এতদিন মামলাটি পড়ে ছিল, জানা যায়নি। প্রথম দু’দিনের শুনানিতে আসামির হয়ে কোনও আইনজীবী দাঁড়াননি। তৃতীয় দিনের শুনানিতে হাইকোর্ট লিগ্যাল সেল কমিটির প্যানেলভুক্ত আইনজীবী কল্লোল মণ্ডলকে আসামির হয়ে সওয়াল করার নির্দেশ দেয়। ওই আইনজীবী আদালতকে জানান, ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী হারাধনের জেঠিমা সুখমণিদেবী। অথচ, তিনি আর্তনাদ শুনলেও পাঁচ ফুট উঁচু ভুট্টা খেতের মধ্যে দিয়ে কাউকে যেতে দেখেননি। ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় গোবর্ধনকে দেখতে পান। দ্বিতীয়ত, নিম্ন আদালতে জেরার মুখে বলেছিলেন, তাঁর যে বয়ান নথিবদ্ধ হয়েছিল, তা ছিল পুলিসের শেখানো। এমন বয়ানকে ভিত্তি করে যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে না। সন্দেহের অবকাশ থেকেই যায়। সেকারণেই আসামির ছাড়া পাওয়া উচিত।