রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, যৌথ ভেক্টর কন্ট্রোল টিম লাগাতার কাজকর্ম করায় গত বছর এই সময়ে হাওড়ায় যতজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন, এবার সেই সংখ্যা তার অর্ধেকেরও কম। গোটা শহরে প্রায় ৪৫০টি যৌথ ভেক্টর কন্ট্রোল টিম কাজ করছে। প্রত্যেকটি দলে দু’জন করে স্বাস্থ্যকর্মী এবং একজন করে সাফাইকর্মী রয়েছেন। পাশাপাশি করোনা সচেতনতায় নাগরিকদের শরীর-স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে পুর-স্বাস্থ্যকর্মীরা যখন বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন, তখন তাঁরা ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে করণীয় কাজের কথা বলে আসছেন। বাড়ির কোথাও টানা অনেকদিন জল জমিয়ে না রাখা, বাড়ির আশপাশ যতটা সম্ভব পরিষ্কার রাখা, মশারি টাঙিয়ে ঘুমনো এবং জ্বর হলে চিকিৎসক দেখানোর পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। বর্ষা চলে যাওয়ার পর বিভিন্ন ছোট ছোট ‘পকেটে’ পরিষ্কার জমা জলই ডেঙ্গুবাহী মশার আঁতুড়ঘর হয়ে ওঠে। সেই কথা মাথায় রেখেই সাফাইকাজ চলছে হাওড়া পুরসভা এলাকায়।
পুরসভার এক কর্তা আরও বলেন, এ বছর করোনার জন্য সাধারণ মানুষ আগের থেকে কিছুটা সচেতন হয়েছেন। তাছাড়া কোথাও কারও করোনা হলে সেই বাড়ি ও এলাকা জীবাণুমুক্ত করার কাজ হচ্ছে নিয়মিত। বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উদ্যোগ নিয়ে এলাকা পরিষ্কার ও জীবাণুনাশক স্প্রে করছে। ফলে ডেঙ্গুবাহী মশার লার্ভাও নানা জায়গায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই এখনও হাওড়া শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ সেভাবে দেখা দেয়নি বলে দাবি করেছেন ওই আধিকারিক। নিকাশি নালা সাফাইয়ের কাজ করছেন পুরকর্মীরা। -নিজস্ব চিত্র