বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রায় ঘোষণার পর লক-আপ থেকে বেরিয়ে ওই যুবক বিচারককে প্রণাম করেন। এরপরই চোখের জল মুছতে মুছতে তিনি এজলাস ছাড়েন। কোর্ট চত্বরে দাঁড়িয়ে তাঁর আইনজীবী পার্থ সাহা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পকসোর মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ আইনকে যদি কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে, তার থেকে দুর্ভাগ্যোর আর কী হতে পারে! ওই আইনজীবীর বক্তব্য, শেষ পর্যন্ত আদালত থেকে ন্যায়বিচার পাওয়ায় তাঁরা খু্শি। অবশ্য আদালতের এই রায় নিয়ে সরকারি আইনজীবী কোনও মন্তব্য করতে চাননি। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ১৯ আগস্ট নারকেলডাঙা থানার ক্যানাল ওয়েস্ট রোডের বাসিন্দা ওই মহিলা হাবিবের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ এনেছিলেন। তিনি তাঁর অভিযোগে বলেছিলেন, ১৬ আগস্ট তিনি যে বাড়িতে ভাড়া থাকেন, সেই বাড়িওয়ালার জামাই তাঁর ১৫ বছর মেয়েকে একা পেয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। ওই মহিলা পুলিসে জানান, তাঁর মেয়ে বিষয়টি তাঁকে জানালে তিনি পুলিসের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন।, ওই ঘটনার পরই পুলিস ওই যুবকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পাশাপাশি ওই কিশোরী শিয়ালদহের একজন বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেয়। কিশোরীর মেডিক্যাল পরীক্ষাও করানো হয়। মামলার তদন্ত শেষ করে তদন্তকারী পুলিস অফিসার কবিতা সামন্ত শিয়ালদহ আদালতে চার্জশিট পেশ করেন। মামলাটি বিচারের জন্য যায় পকসোর বিশেষ আদালতে। সেখানেই চার্জ গঠন প্রক্রিয়া শেষ করে শুরু হয় মামলার শুনানি।
কিন্তু আদালতে কিশোরীর মা রীতিমতো বিরূপ সাক্ষ্য দেন। তিনি অভিযোগের ধারেকাছে না-ঘেঁষে একেবারে অন্য বক্তব্য আদালতের কাছে পেশ করেন। তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে ওই যুবক জড়িত নন। ওই বক্তব্য শোনার পরই ধৃতের আইনজীবী আদালতে বলেন, খোদ অভিযোগকারিণী যেখানে অভিযোগের কথা অস্বীকার করছেন, সেখানে কি আর এই মামলা চলতে পারে? যদিও সরকারি আইনজীবী আদালতে বলেন, এ বিষয়ে আদালত যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে। সমস্ত বক্তব্য শোনার পর বিচারক অভিযুক্ত যুবককে মামলা থেকে রেহাই দেন। তিনি ওই যুবকের উদ্দেশে বলেন, আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত আপনাকে মামলা থেকে খালাস দিল।