পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পরিবারকে নিয়ে কাশ্মীর বেড়াতে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের বদ্রিপ্রসাদ। এরপর এক দশক তাঁর কোনও খোঁজ ছিল না। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বনগাঁর যশোর রোডের ধারে এক মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর চঞ্চল পাল নামে এক স্থানীয় যুবক হ্যাম রেডিও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর প্রশাসনের সহযোগিতায় ওই ব্যক্তিকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর করোনা পরীক্ষা করার পর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকদের সহযোগিতায় তাঁর ছবি তুলে হ্যাম রেডিও কর্তৃপক্ষ নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে দেন। এরপর তাঁরা জানতে পারেন, ওই ব্যক্তির নাম বদ্রিপ্রসাদ। তাঁর বাড়ি মধ্যপ্রদেশের অমরকণ্টক থানার দাদরাতলায়। বছর দশেক আগে তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাশ্মীর বেড়াতে যাচ্ছিলেন। দিল্লির কাছে এক স্টেশনে শিঙাড়া কেনার জন্য তিনি ট্রেন থেকে নামেন। কিন্তু দ্রুত ট্রেন ছেড়ে দেওয়ায় তিনি আর ওই ট্রেনে উঠতে পারেননি। এরপর তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। পরিবারের তরফে রেল পুলিসের কাছে মিসিং ডায়েরি করা হলেও তাঁর কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। তাঁকে ফিরে পাওয়ার আশা কার্যত ছেড়ে দেন পরিবারের লোকেরা। হ্যাম রেডিও কর্তৃপক্ষ দুই রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বদ্রিপ্রসাদের বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শনিবার বনগাঁ শহরে আসেন বদ্রিপ্রসাদের পরিবারের সদস্যরা। একদশক পর বদ্রিপ্রসাদকে দেখে আনন্দাশ্রু কেউ ধরে রাখতে পারেননি। মধ্যপ্রদেশ থেকে বদ্রিপ্রসাদের আত্মীয় রামশরণ চন্দ্রবংশী বলেন, ‘এতদিন পর আমরা তাঁকে ফিরে পাব কখনও ভাবিনি। হ্যাম রেডিও কর্তৃপক্ষ না-থাকলে কখনও ওঁকে ফিরে পেতাম না। পশ্চিমবঙ্গ হ্যাম রেডিও ক্লাবের রাজ্য সম্পাদক অম্বরীশ নাগ বিশ্বাস বলেন, ‘’উনি সম্ভবত পরিবারের সদস্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। ওঁকে পরিবারের সঙ্গে মিলিয়ে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
পরিজনের সঙ্গে বদ্রিপ্রসাদ (নীল জামা)।