পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়দহের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের নারায়ণ দাস কলোনির বাসিন্দা অণিমাদেবীর অভিযোগ, তাঁর মেজ ছেলে বছর খানেক ধরে অন্যত্র থাকেন। বৃদ্ধা বড় ছেলের কাছেই থাকেন। তবে সপ্তাহখানেক ধরে মেজ
ছেলে ফের ওই বাড়িতে আসা-যাওয়া শুরু করেছিলেন। এ দিন সকালেও আসেন। অণিমাদেবী বলেন, ‘আমি মেন গেটে তালা দিয়ে রেখেছিলাম। আচমকা পাঁচ-ছয় জনকে নিয়ে মেজ ছেলে এসে আমাকে তালা খোলার জন্য চাপ দেয়।’ বৃদ্ধার অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই সম্পত্তি ভাগ করে দেওয়া নিয়ে তাঁর উপর মানসিক অত্যাচার করছে মেজ ছেলে। কিন্তু তাতে তিনি রাজি হননি। তিনি আরও বলেন, ‘আগেও আমাকে মারধর করেছিল। তা নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছিলাম। এ বার দরজা না- খোলায় ছেলে বাইরে থেকে তালা দিয়ে দিল। পুলিসকে জানাব বলতেই আমাকে হুমকি দিল।’
বাড়ির ভিতরেই ছিলেন বৃদ্ধার বড় বৌমা তথা ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর দোলা দাস। তিনি জানান, মেজ দেওর চলে যাওয়ার পরে তাঁরা খড়দহ থানায় খবর দেন। পুলিস এসে ওই যুবককে ডেকে পাঠিয়ে তালা খোলায়। দোলার অভিযোগ, তাঁর দেওর তৃণমূল কর্মী। খড়দহের পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান কাজল সিনহার লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসেই তিনি ওই হামলা চালিয়েছেন। প্রাক্তন কাউন্সিলর ও বর্তমানের ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরের বাড়িতেই এমন ঘটনার পরে খড়দহ টাউন সভাপতি সুকন্ঠ বণিক বলেন, ‘একজন বৃদ্ধাকে তালা দিয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি। যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এমন চলতে থাকলে ৩-৪ মাসে খড়দহ থেকে তৃণমূল দল উঠে যাবে।’ অভিযোগ অস্বীকার করে কাজল সিনহা বলেন, ‘এটা পারিবারিক ঘটনা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। দোলা পুরসভার কোঅর্ডিনেটর, তার সঙ্গে বিবাদ কেন থাকবে? আর দলের ভালমন্দের বিষয় দেখার দায়িত্ব সভাপতির।’ এদিকে বিশ্বজিৎ বলেন, ‘আমি তালা দিইনি। ওই বাড়িতে আমার একটি অফিস রয়েছে। সেখানেই গিয়েছিলাম। কিন্তু মা ঢুকতে দিতে রাজি হননি। পরিবারের অত্যাচারে আমি বাড়ি ছেড়েছি। এই ঘটনায় রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই।