কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, শনিবার ভোর রাতে একটি মোটর চালিত ভুটভুটিতে করে ভারতীয় সীমান্ত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল অনেকগুলি গোরু। গোপন সূত্রে এমনই খবর পেয়ে উপকূল থানার পুলিস অভিযান চালায়। কালীদাসপুর পাঁচারামের ঘাটের বিপরীতে ওত পেতে বসেছিলেন পুলিস আধিকারিকরা। পাচারকারীদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থাকতে পারে, এই অনুমান করেই বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। যে নৌকায় করে তাঁরা আসছিলেন, সেটি যথেষ্ট উন্নত মানের ছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু যে জায়গায় পুলিস অপেক্ষা করছিল, ওই পাচারকারীরা তার আগেই সতর্ক হয়ে যায়। বিপদের গন্ধ পেয়ে জলে ঝাঁপ দিয়ে জঙ্গলে পালিয়ে যান তিন থেকে চারজন পাচারকারী। এরপর ওই নৌকা ঘিরে ফেলে কোস্টাল থানার পুলিস। তল্লাশি করে ন’টি গোরু উদ্ধার করা হয়। তার সঙ্গে একটি বন্দুক ও ১৫ রাউন্ড গুলিও পাওয়া গিয়েছে। এই গোটা অভিযান রাত সওয়া ১টা থেকে পৌনে তিনটে পর্যন্ত চলে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকা যদি এই চোরাচালানকারীরা পেরিয়ে যেত, তাহলে তাঁদের ধরা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ত। মরিচঝাঁপি জঙ্গলে পালিয়ে গেলেও, সেখান তাঁদের ধাওয়া করা সম্ভব ছিল না পুলিসের পক্ষে। এই ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়েছে। উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং বিএসএফের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই জলপথে নজরদারি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সুন্দরবন কোস্টাল থানা। তবে এইভাবে নৌকায় করে গোরু পাচার করার ঘটনা সাম্প্রতিককালে প্রথম বলেই মনে করছেন পুলিস আধিকারিকরা।