গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বকর্মা পুজোর রাতে চ্যাটার্জিহাট থানার আওতায় থাকা চক্রবেড়িয়া ফাঁড়ির সামান্য দূরে এই ঘটনা ঘটে। দোকানদার সঞ্জীব সাউয়ের অভিযোগ, ওই দু’জন প্রায় প্রতিদিনই দোকান থেকে বিভিন্ন জিনিস নিত। কিন্তু টাকা দিত না। বরং মাঝেমধ্যেই আমাদের থেকে টাকা চাইত। টাকা দিতে না চাইলে বা প্রতিবাদ করলে হুমকি দিত ওরা। বলত, লাশ ফেলে দেব। ঘটনার সময় চিৎকার চেঁচামেচি শুনে দোকান থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন সঞ্জীবের মা মীরাদেবী। তিনি বলেন, এসে দেখি, ছেলের মাথা দিয়ে রক্ত বেরচ্ছে। তখন ওর বাবাকে ডাকি। তাঁকেও ওরা মারধর করে। ওই সময় আশপাশের দোকানিরা চলে আসায় ওই দুই দুষ্কৃতী পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ওরা আমাকেও নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে এই এলাকায় তোলাবাজি, দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব অত্যধিক বেড়েছে। বিভিন্ন ছোট কারখানা, দোকানিদের ভয় দেখিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে। রাতের দিকে এলাকায় দুষ্কৃতীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পুলিস অবশ্য একথা মানতে নারাজ। কারণ তাঁদের কাছে এই ধরনের কোনও অভিযোগ আসেনি বলে জানিয়েছেন চ্যাটার্জিহাট থানার এক পদস্থ পুলিসকর্তা। তিনি বলেন, এমন অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ওই দুই দুষ্কৃতীর মধ্যে একজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যজনের খোঁজ চলছে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে জগাছা থানা এলাকায় এক ব্যবসায়ী তোলা চাওয়ার প্রতিবাদ করলে গুলি চালিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সহ বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে পুলিস।