পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শিক্ষক নিয়োগে এই নিয়ম আগে ছিল না। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে রাজ্য সরকার নতুন নিয়ম কার্যকর করে। তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। বিরোধীদের হইচই সত্ত্বেও এই নিয়ম জারি রাখে সরকার। ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-র শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেয়। সেই পরীক্ষার ভিত্তিতে কয়েক হাজার শিক্ষক নিয়োগপত্র পান ২০১৮ সালে। সরকার জানায় দু’বছরের মধ্যে রিপোর্টগুলি এলেও চলবে। স্কুলশিক্ষা দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় থানা থেকেই ডাক আসার কথা সেই শিক্ষকদের। নির্দিষ্ট কোনও হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশও আসার কথা। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা হয়নি।
চাকরির ‘কনফার্মেশন’-এর শংসাপত্র না মিললে শিক্ষকরা ‘মিউচুয়াল ট্রান্সফার’, ‘মেডিক্যাল লিভ’ ইত্যাদি সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। রাজনগর রামচন্দ্র আদর্শ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক শেখ ফিরোজ রহমান বলেন, চলতি মাসেই আমার চাকরি জীবনের দু’বছর পূর্ণ হবে। কিন্তু মেডিক্যাল টেস্ট এবং পুলিস ভেরিফিকেশন না হওয়ায় আমার মত বহু শিক্ষক বিভিন্ন সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। চাকরি পাকা হওয়ার চিঠি না মেলায় আশঙ্কায় ভুগছেন বহু শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী।
স্কুলশিক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত ছ’মাস করোনা সতর্কতায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। করোনা বিধি মেনে সরকারি অফিসগুলি ধীরে ধীরে চালু হয়েছে। এই কারণে বেশ কয়েকজন শিক্ষকের মেডিক্যাল পরীক্ষা এবং পুলিস ভেরিফিকেশন করা সম্ভব হয়নি। পর্ষদের এক আধিকারিক বলেন, আমি যতদূর জানি, এখনও পর্যন্ত পাঁচ শতাংশ শিক্ষকের ভেরিফিকেশন এবং মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে। এই রিপোর্ট পর্ষদে না আসা অবধি তাঁদের চাকরি কনফার্ম হবে না। এদিকে, পর্ষদ সভাপতি অসুস্থ থাকায় বহু শিক্ষকের বদলির নিয়োগপত্রও ছাড়া যাচ্ছে না। স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকে আসা এরকম কয়েকশো সুপারিশপত্র পড়ে রয়েছে বলে পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে।