বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গোটা রাজ্যে এই অর্ডারের কপি দাবানলের মতো ছড়িয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এটি। প্রতিবাদে শামিল হয়েছে শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষক সংগঠনগুলিও। পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকার মালদহের জেলাশাসককে ই-মেল করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ওই অর্ডারের ভাষা খুবই আপত্তিজনক। আর একজন বিডিও প্রধান শিক্ষকদের ওই নির্দেশ দিতে পারেন না। কারণ শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষকরা তাঁর অধঃস্তন কর্মচারী নন। চালের বস্তা লাগলে তা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা যেত। অসংযত ভাষা প্রয়োগের প্রয়োজন ছিল না বলেই তাঁর মত। একই মত স্টেট ফোরাম অব হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর সাধারণ সম্পাদক চন্দনকুমার মাইতির। তিনি বলেন, এই নির্দেশে বিডিও শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং প্রধান শিক্ষকদের অপমান করেছেন। প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মেল পাঠিয়েছেন তাঁরা। এই নির্দেশ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী। তিনি বলেন, আজ পর্যন্ত কোনও বিডিও এমন নির্দেশ দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। বস্তাগুলি বিডিও তাঁর লোকজনকে দিয়ে সংগ্রহ করতেই পারতেন। কিন্তু শিক্ষকদের সঙ্গে করে বস্তা আনার নির্দেশ খুবই অপমানজনক। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্রও এই নির্দেশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বস্তা ফেরতের নির্দেশ নিয়ে অবশ্য বিডিওর পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলার মিড ডে মিলের তদারকির দায়িত্বে থাকা মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অর্ণব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিডিও কোনও নিয়ম বহির্ভূত কাজ করেননি। চালের বস্তা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে সরকারি অর্ডার রয়েছে। বস্তাগুলি সংগ্রহ করার পর বিডিওরা সেগুলি নিলামে বিক্রির ব্যবস্থা করেন। এর থেকে যা টাকা পাওয়া যায়, তা বিভিন্ন স্কুলের উন্নয়নের কাজে লাগানো হয়। যদিও বস্তা ফেরত দেওয়া আর শিক্ষকদের বস্তা নিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া এক বিষয় কি না, সে ব্যাপারে তাঁর কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।