পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
নবান্নতে আটতলায় পুজোর আয়োজন করেছিল পূর্তদপ্তর। এসেছিলেন দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। হাতে গোনা কর্মীরাও এসেছিলেন। কিন্তু পরিচিত উৎসাহের ভাটার টান সহজেই চোখে পড়েছে। ২০১৪ সাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে নবান্নের বিশ্বকর্মা পুজোর জৌলুস খ্যাতি পেয়েছিল। করোনা আবহে সেই জৌলুস তো বটেও পাতপেড়ে খাওয়াদাওয়ার রেওয়াজের ছেদ পড়েছে। হাওড়া, হুগলি, বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে অনেক জায়গাতেই পুজোর আয়োজন হয়েছিল। কিন্তু আড়ম্বর দেখা যায়নি কোথাও। নেহাতই পুজো বলে কথা। তাই নমো নমো করেই সারা হয়েছে বিশ্বকর্মা পুজোর পাট। হাওড়ার লিলুয়া, বেলুড়, হুগলির শ্রীরামপুর, ভদ্রেশ্বর, চাঁপদানিতে বিশ্বকর্মা পুজো বিকেল থেকেই ঠাকুর দেখার ভিড় ছিল পরিচিত দৃশ্য। এবার সেই দৃশ্যও দেখা যায়নি। বারাকপুর মহকুমার ভাটপাড়া, শ্যামনগর, বীজপুরের পুজো জৌলুস হারিয়েছে অনেকদিন। কিছুটা আলোকোজ্জ্বল থাকত টিটাগড়, খড়দহ, কামারহাটি। এবার সেখানেও কোনওমতে কেবল নিয়ম মানার পুজোটুকুই হয়েছে। ঠাকুরের উচ্চতা থেকে আলোর রোশনাইয়ে চমকে দেওয়ার চেষ্টা কোথাও দেখা যায়নি। পুজো হয়েছে বিভিন্ন কারখানা, লেদ ফ্যাক্টরি, গ্যারেজ, অটো, রিকশ স্ট্যান্ডেও। কলকাতা থেকে শহরতলিতেও সেই দৃশ্য চোখে পড়েছে। শুধু উধাও ছিল পরিচিত উচ্ছ্বাস, আনন্দের আবহ।