বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
সিআইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, সল্টলেকে জমি নিয়ে একটি প্রতারণা মামলার তদন্ত করছে তারা। সরকারি জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায় আগে গ্রেপ্তার হন এক প্রোমোটার। তদন্তে রোমি ও বরুণের নাম উঠে আসে। গ্রেপ্তার এড়াতে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। দেশের সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দেয় তাঁদের গ্রেপ্তার করা যাবে না। কিন্তু প্রতিদিন তদন্তকারী অফিসারের সামনে হাজিরা দিতে হবে। প্রথমদিকে ওই দুই ব্যবসায়ী তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা দিতেন। সিআইডি’র ওই সূত্রটি জানিয়েছে, এরপর হাজিরা এড়ানোর ফন্দি আঁটে তাঁরা। নিজেদের পরিবর্তে তাঁদের সংস্থার এক কর্মীকে সিআইডি’র কাছে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু কী সেই পরিকল্পনা? সূত্রের খবর, ভবানী ভবনে যাওয়ার আগে তদন্তকারী অফিসারকে ফোন করতেন তাঁরা। কায়দা করে জেনে নিতেন অফিসার কখন থাকবেন না। সেই সময় রক্তিমকে পাঠিয়ে দিতেন। রক্তিম সেখানে পৌঁছনোর পর দুই ব্যবসায়ী তদন্তকারী অফিসারকে ফোন করতেন। বলতেন, তাঁরা এসে গিয়েছেন। তদন্তকারী অফিসার তাঁদের অপেক্ষা করতে বললে, জরুরি কাজের অজুহাত দিতেন রোমি ও বরুণ। তাঁদের এই কৌশল প্রথমে ধরতে পারেননি অফিসার। ওই দু’জনের কথা বিশ্বাস করে তিনি বলতেন, হাজির হওয়ার কাগজে সই করে ভবানী ভবনের রিসেপশনে তাঁরা দিয়ে যাক। তিনি ফিরে এসে তা সংগ্রহ করে নেবেন। সেই অনুযায়ী কাজ সেরে রেজিস্টারে রোমি ও বরুণের হয়ে সই করে চলে যেতেন রক্তিম।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তকারী অফিসার যে সময় থাকছেন না, সেই সময়টাকে বেছে নিয়ে রোমি ও বরুণ বারবার আসছেন কেন, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। তাঁরা সত্যি হাজিরা দিতে ভবানী ভবনে এসেছিলেন কি না, তা দেখতে সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়। আসল তথ্য বেরিয়ে আসে সেখান থেকেই। তাঁদের হয়ে ‘প্রক্সি’র বিষয়টি জানতে পারেন গোয়েন্দা সংস্থার কর্তারা। বুধবার ওই দুই ব্যবসায়ীর হাজিরা দেওয়ার দিন ছিল। তাই এবার বাড়তি সতর্ক ছিলেন অফিসাররা। বেলা তিনটে নাগাদ সিআইডিতে হাজির হন রক্তিম। তাঁকে আটক করে জেরা করা হয়। জানা যায় গোটা পরিকল্পনা। অপরদিকে রক্তিমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে ভবানী ভবন চলে আসেন ওই দুই ব্যবসায়ী। প্রবেশ দ্বারের গেটে রেজিস্টারে নিজেদের নাম কেটে রক্তিমের নাম লিখে দেওয়ার সময় কর্তব্যরত পুলিস কর্মীর সন্দেহ হয়। তিনি বিষয়টি জানান সিআইডিকে। চারতলা থেকে নেমে এসে সিআইডি অফিসাররা হাতেনাতে পাকড়াও করে রোমি ও বরুণকে।