কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সূত্রের খবর, টালিগঞ্জ থেকে ধর্মতলা— আপাতত এই পথেই অস্থায়ী ‘সাইকেল বে’ তৈরি করে ট্রায়াল রানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। রাস্তার দু’পাশে ব্যারিকেড লাগিয়ে সাইকেল যাতায়াতের ব্যবস্থা নির্দিষ্ট করার কথা বলা হয়েছে। এই প্রস্তাব গিয়েছে লালবাজারে। পুলিস সব দিক খতিয়ে দেখে এতে সিলমোহর দিলে শুরু হবে ট্রায়াল। কলকাতায় ‘সাইকেল বে’ নির্মাণের জন্য দিল্লির একটি সংস্থাকে সমীক্ষার কাজে লাগায় কেএমডিএ। ওই সংস্থা ইতিমধ্যেই ১২টি রুটকে সাইকেলের জন্য চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে ছ’-সাতটি রুটকে সাইকেলের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। সেগুলি হল টালিগঞ্জ-ধর্মতলা, হাওড়া-ধর্মতলা, বেহালা-ধর্মতলা, বেহালা-সেক্টর ফাইভ, ধর্মতলা-সল্টলেক, শিয়ালদহ-ধর্মতলা এবং খিদিরপুর-হাওড়া। কলকাতা পুরসভা ও কেএমডিএ সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শহরের রাস্তায় ডেডিকেটেড সাইকেল ট্র্যাক তৈরি করতে প্রতিটি রাস্তায় অন্তত দুই শতাংশ জায়গা প্রয়োজন। তেমনটাই উঠে এসেছে সমীক্ষায়। যে যে রুট প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানে কোন কোন রাস্তা দিয়ে সাইকেল চলবে, কোথায় কোথায় কীভাবে ক্রসিং লাইন টানা হবে, সেটা পুলিস খতিয়ে দেখছে।
এই বিষয়ে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। রয়েছেন কেএমডিএ, কলকাতা পুরসভা, কলকাতা পুলিস, কনসালটেন্সি এজেন্সি, খড়্গপুর আই আই টি এবং পরিবহণ দপ্তরের প্রতিনিধিরা। কনসালটেন্সি এজেন্সি এই কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছেতেই শহরে সাইকেল ট্র্যাক তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে কেএমডিএ। কলকাতায় সাইকেলের জন্য করিডর তৈরি করা সহজ কথা নয়। তা স্বীকারও করছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, কলকাতা অপরিকল্পিত শহর। এখানকার আবহাওয়া ইউরোপের মতো সাইকেল চালানোর জন্য আদর্শ নয়। কিন্তু এখানে সাইকেলপ্রেমী মানুষের সংখ্যা কম নয়। তাছাড়া সাইকেল পরিবেশবান্ধব যানও বটে। তাই সেই সব ভাবনাচিন্তা করেই আমরা ‘সাইকেল বে’ তৈরি করছি।
আপাতত টালিগঞ্জ থেকে ধর্মতলা রুটে ট্রায়াল রান সফল হলে, ভবিষ্যতে একইভাবে ব্যারিকেড দিয়ে বাকিগুলিতেও ট্রায়াল করা হবে। সেই পরীক্ষার উপর ভিত্তি করেই সংশ্লিষ্ট রুটে সাইকেল ট্র্যাক নির্মাণ করা হবে। যে রাস্তাগুলিকে চিহ্নিত করা হবে, সেখান থেকে পার্কিং ছাঁটাই ও হকারদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা করা হবে। সেক্ষেত্রে পার্কিংয়ের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবছে কেএমডিএ। পাশাপাশি, পথচারীদেরও যাতে চলাফেরায় অসুবিধা না হয়, সেই দিকটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে সমীক্ষক সংস্থাকে। -ফাইল চিত্র