কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এদিন তৃণমূল ভবনে এসে যোগ দিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের আইনুল হক। ছাত্রাবস্থা থেকে সিপিএমের পতাকা নিয়ে আন্দোলন করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন পুরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন। জেলায় সিপিএমের পরিচিত মুখ ছিলেন আইনুল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। এবার বিজেপি ছেড়ে রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত হলেন তিনি। এদিন বিজেপির ট্রেড ইউনিয়ন কাউন্সিলের নেতা সুন্দর পাসোয়ান তৃণমূলে শামিল হয়েছেন। শিক্ষক হিসেবে সমাজসেবার কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনি। শেষ বিধানসভা নির্বাচনে গলসিতে প্রার্থীও হয়েছিলেন। এছাড়াও এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন দুই চিকিৎসক রেজাউল করিম এবং কৌশিক চাকি। চিকিৎসক মহলে পরিচিত দু’জনই। এর আগে লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম আসনে সিপিএম সমর্থিত নির্দল হিসেবে প্রার্থীও হয়েছিলেন রেজাউল। যোগদানকারী চারজনই জানিয়েছেন, বিজেপির ভাগাভাগি রাজনীতির বিরুদ্ধে তাঁরা। যদিও জনপ্রিয় চিকিৎসক সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম-এর প্রধান উপদেষ্টা রেজাউলের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই সংগঠনের বহু সদস্য। এতদিন সংগঠন রাজনীতি-নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে চলেছে। কিন্তু সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তৃণমূলে যাওয়ায় এবার কী হবে?
এর উত্তরে রেজাউল জানান, আমি চাই ডব্লুবিডিএফ এখনও রাজনীতি-নিরপেক্ষ, দৃঢ় এবং সঠিক অবস্থান নিয়ে চলুক। প্রয়োজনে রাজ্য সরকারের সমালোচনাও করুক। আর আমাকে রাখা হবে কি না, সেটা সংগঠনের অন্য সদস্যরাই ঠিক করুন। এই যোগদানের বিষয়ে পার্থবাবু জানিয়েছেন, কেন্দ্রের জনস্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মানুষ প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বিজেপির বিভাজনের রাজনীতিকে সমর্থন করছে না। সেই কারণে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা থেকে ছাত্র-যুব-চিকিৎসক-বুদ্ধিজীবী সহ সমাজের বিশিষ্ট মানুষজন তৃণমূলের পতাকাতলে শামিল হচ্ছেন।
এদিন তৃণমূলের মহাসচিব বলেছেন, যাঁরা মানুষের উন্নয়নের কথা বলছে, তাঁরা মানুষেরই খবর রাখে না। পরিযায়ী শ্রমিকদের দিকে কেন্দ্র দেখেনি। কতজন মানুষ মারা গিয়েছেন, তাও তারা জানে না। বাংলার সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থান, আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করেছে বলে জানান পার্থবাবু। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা মানুষের প্রতি নরম। মুকুল রায়ের প্রতি নরম-গরমের বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলতে পারবেন। নিজস্ব চিত্র