পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রামকৃষ্ণবাবু ও তাঁর এক ভাই প্রাক্তন সেনাকর্মী জ্যোর্তিময়বাবু মণ্ডলপাড়ার ওই দোতলা বাড়িতে একসঙ্গে থাকতেন। ২০১৬ সালে জ্যোর্তিময়বাবুর মেয়ের সঙ্গে স্থানীয় কাশীপুর কলতলা এলাকার যুবক তন্ময় বরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে আচমকাই তন্ময় একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে দেয়। তখনও ওই ছাত্রী নাবালিকা ছিল। সেই সময় মণ্ডল পরিবারের তরফে হাবড়া থানায় তন্ময়ের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ করা হয়। মাস ছয়েক পর ওই ছাত্রীর ১৮ বছর বয়স হলে তন্ময় তাকে নিয়ে কাশীপুরের বাড়িতে ফিরে আসে। এরপর রেজিস্ট্রির মাধ্যমে দু’জনে বিয়েও করে। কিন্তু, কিছু দিনের মধ্যেই তন্ময়ের অত্যাচারে বাপের বাড়ি ফিরে আসেন ওই তরুণী। ডিভোর্সের মামলাও করেন।
এরপর থেকেই বর্তমানে কলেজে পাঠরত ওই তরুণীকে নানাভাবে উত্যক্ত করতে শুরু করে তন্ময়। ফোন করে পরিবারকে খুনের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি বাড়িতে অ্যাসিড হামলাও করেছিল সে। এসবের জন্য একসময় পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু জেল থেকে বেরিয়ে সে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। মঙ্গলবার রাত আড়াইটা নাগাদ অভিযুক্ত যুবক নারকেল গাছ বেয়ে শ্বশুরবাড়ির দোতলায় ওঠে। দরজার তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। দোতলার যে ঘরে জ্যোর্তিময়বাবু ও তাঁর স্ত্রী ঘুমোচ্ছিলেন তার দরজা বাইরে থেকে আটকে দেয় সে। একতলায় জ্যোর্তিময়বাবুর ছেলে জিদান মণ্ডলের ঘরের দরজাও একই ভাবে বন্ধ করে। কিন্তু, আচমকাই জিদানের ঘুম ভেঙে যাওয়ায় সে চেঁচামেচি শুরু করে। যা শুনে টর্চ নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন রামকৃষ্ণবাবু ও লীলাদেবী। আর ঠিক তখনই খুব কাছ থেকে লীলাদেবীর মাথায় গুলি করে অভিযুক্ত। তারপর রামকৃষ্ণবাবুর বুক লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালিয়ে দ্রুত চম্পট দেয় সে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই দম্পতিকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে লীলাদেবীকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মৃত্যু হয় রামকৃষ্ণবাবুর। ঘটনার আকস্মিকতায় বিহ্বল জ্যোর্তিময়বাবু বলেন, ‘যেকোনও কাজ করার আগে দাদার অনুমতি নিয়ে করতাম। তন্ময় ভেবেছিল দাদা-বৌদিই ওর পথের কাঁটা। তাই নৃশংসভাবে তাঁদের খুন করেছে। আমরা ওর ফাঁসি চাই।’