বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকায় ইট বলি পাথর সরবরাহের ব্যবসা আছে বিশ্বজিৎ বিশ্বাস ওরফে বিজুর। গত কয়েক মাস ধরে জয় দাস ওরফে গুলে ওই এলাকাতেই নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহের ব্যবসা শুরু করে। এলাকার বাসিন্দাদের কথায়, কে ওই এলাকায় একচেটিয়া নির্মাণ সামগ্রী ফেলবে, তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই দু’পক্ষের মধ্যে ছোটখাট গণ্ডগোল চলছিল। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে বাধা দিচ্ছিল। এই নিয়ে ছ’মাস আগে তাদের মধ্যে মারপিটও হয়।
পুলিস ও এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাইকে ওই এলাকায় ঢোকে বিশ্বজিতের সঙ্গীরা। তারা স্থানীয় একটি দোকান থেকে খাবার কেনে। এরপর জয়ের বাড়ির সামনে একটি বিল্ডিংয়ের নীচে প্রসাব করে বলে অভিযোগ। এই সময় জয়ের বাড়িতে বার্থ ডে পার্টি চলছিল। বিশ্বজিতের সঙ্গীরা প্রসাব করছে, এটি জয়ের ছেলেদের নজরে আসে। দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তা হাতাহাতিতে চলে যায়। জয়ের সহযোগীদের দাবি, এই সময় তাদের উপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বিশ্বজিতের লোকজন। এমনকী জয়েরর বাড়িতে চড়াও হয় তারা। রুখে দাঁড়ায় জয়ের সঙ্গীরা। বিশ্বজিতের ছেলেদের তারা মারধর করে বলে অভিযোগ। এমনকী ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। বিশ্বজিতের এলাকায় খবর যায়, তাদের ছেলেদের মারধর করা হয়েছে। আরও যুবক ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয়। তখন এলাকার বাসিন্দারাই পুলিসে খবর দেন। আসে পর্ণশ্রী থানার পুলিস। আহত ছ’জনকে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। স্থানীয় বাসিন্দারা বিশ্বজিতের তিন সঙ্গীকে পাকড়াও করে পুলিসের হাতে তুলে দেন। বিশ্বজিতের সঙ্গীদের মোটরবাইক ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। দীর্ঘক্ষণ পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। দু’পক্ষ একে অন্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে। তার ভিত্তিতে দু’দলের পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, বিশ্বজিৎ এবং জয় দু’জনেই শাসকদলের সমর্থক বলে পরিচিত। তাদের এলাকা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তারপরেও ঝামেলা হচ্ছে। সিন্ডিকেট সংক্রান্ত গোলমাল ছাড়া এই সংঘর্ষের অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন অফিসাররা।