কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন আবেদনের সংখ্যা ছিল সাড়ে ২৮ হাজারের বেশি। তার মধ্যে থেকে ২৮ হাজারের মতো আবেদন বাতিল করা হয়েছে। এই বিভাগে মোট ৫৭৫ জন ক্ষতিপূরণ পাবেন বলে ঠিক হয়েছে। অন্যদিকে, আংশিক ক্ষতি হয়েছে, এমন আবেদন জমা পড়েছিল ১ লক্ষ ১৩ হাজারের বেশি। তার মধ্যে থেকে বাতিল করা হয়েছে সাড়ে ৮৬ হাজারের বেশি আবেদন। অর্থাৎ, এই বিভাগে সাড়ে ২৬ হাজারের কিছু বেশি মানুষ ক্ষতিপূরণ পাবেন। প্রসঙ্গত, প্রথম দফায় ক্ষতিপূরণের জন্য সাড়ে ৮ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে গৃহীত হয়েছিল আট লক্ষের মতো আবেদন। সেই তুলনায় এবার বাতিলের হার অনেকটাই বেশি।
গত ৬ এবং ৭ আগস্ট ব্লক, মহকুমা এবং পুরসভায় এই আবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল। ওই দু’দিনে মোট ১ লক্ষ ৪২ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্যে কতজনের আবেদন সঠিক আর কতজনের ভুয়ো, তা সরজমিনে পরীক্ষা করতে ৪০০-র বেশি সরকারি দল নামিয়েছিল জেলা প্রশাসন। আবেদনকারীদের ঠিকানায় গিয়ে সব তথ্য যাচাই করে অনেকেরই চক্ষু চড়কগাছ। কোথাও ক্ষতিপূরণ পাওয়ার পরও ফের আবেদন করেছেন কেউ কেউ। আবার পরিবারের একাধিক সদস্য ক্ষতিপূরণ পাওয়ার পরও আরেক সদস্য আবেদন করেছেন। বহু ক্ষেত্রে পরিদর্শন করার সময়ই আবেদন বাতিল করে দিয়েছেন সরকারি আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, যেসব অঞ্চলে ক্ষতি কম হয়েছে, সেসব জায়গা থেকেই বেশি আবেদন জমা পড়েছে। যার মধ্যে ক্যানিং ২, মন্দিরবাজার ২ এবং কুলপির মতো ব্লক রয়েছে। প্রকৃত অর্থে যেসব এলাকায় ক্ষতি বেশি হয়েছে, যেমন গোসাবা, মথুরাপুর ২, ডায়মন্ডহারবার ২ নম্বর ব্লক থেকেও অবশ্য ভালোই আবেদন জমা পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সব মিলিয়ে ১ লক্ষ ১৪ হাজারের বেশি আবেদন বাতিল করতে হয়েছে প্রশাসনকে। আবেদনকারীদের সঙ্গে কথা বলার সময়, সামান্যতম সন্দেহ হতেই, সংশ্লিষ্ট আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
তবে বহু সংখ্যক আবেদন যে বাদ যাবে, তা কিছুটা আন্দাজ করেছিলেন জেলার কর্তারা। কারণ প্রথম দফাতেই অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ক্ষতিপূরণ পেয়ে গিয়েছিলেন। সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় দফায় সেই সংখ্যা খুব বেশি হবে না বলেই মনে করা হয়েছিল। তাই আবেদনের সংখ্যা এক লাখের বেশি হয়ে যাওয়ায় অবাকই হয়ছিলেন তাঁরা।