বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
থানায় গিয়েও দেখা গেল, ভিড় কার্যত নেই। দু’-তিনজন বসে আছেন, তবে গাছতলায়। কেউ এসেছেন জমি সংক্রান্ত মারামারি নিয়ে অভিযোগ জানাতে। আবার কেউ এসেছেন পারিবারিক মারধরের অভিযোগ নিয়ে। এক অফিসার বললেন, আগে থানায় সকাল থেকেই লোকজনের ভিড় লেগে থাকত। তিলধারণের জায়গা থাকত না। এখন তা উধাও। কিন্তু, টেলিফোন বেজে চলেছে অহরহ। ফোনে অভিযোগ জানাচ্ছেন মানুষ। শুধু অভিযোগ শুনতে হচ্ছে তা নয়, বড়বাবু কেমন আছেন, সেই খোঁজও নিচ্ছেন কেউ কেউ। ওসি’র করোনা হয়নি, পুরোটাই গুজব বলার পর তাঁরা ক্ষান্ত হচ্ছেন। ফোনে অভিযোগ জানালে তা মৌখিক হিসেবেই থেকে যায়, কাগজে-কলমে হয় না। কেস লিখতে হলে অভিযোগকারীর সইসাবুদের দরকার হয়। ফলে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। সূত্রের খবর, থানায় আগে প্রতিদিন জেনারেল ডায়েরি হতো ৫০ থেকে ৭০টি। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১০। খুব বেশি হলে ২০। বেশিরভাগ অভিযোগই জমি ও পারিবারিক অশান্তি সংক্রান্ত। পুলিসকে প্রতিদিন ছুটতে হচ্ছে আটটি পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জায়গায়। কোথাও উম-পুনের ক্ষোভ সামাল দিতে হচ্ছে, কোথাও জমি বিবাদ থেকে মারামারি থামাতে ছুটতে হচ্ছে হচ্ছে। মথুরাপুর ১ ব্লকে ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পঞ্চাশের কাছাকাছি। যদিও এর মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানা গিয়েছে। এক আধিকারিক বলেন, গুজবে বিশ্বাস করা উচিত নয়। তা নিয়ে প্রচার চলছে ব্লকের সব পঞ্চায়েতে। কোন সমস্যা, গণ্ডগোল হলে সরাসরি মানুষকে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে বলা হচ্ছে।