কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
চন্দননগর কমিশনারেটের এসিপি বিজয়কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। বাবা ও দাদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছি। স্থানীয় বাসিন্দা ঝিলিক দাস বলেন, আমাদের মনে হয় ওকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে একটা মেয়ে কথা বলতে পারবে না? এর জন্য তাকে মেরে ফেলা হবে? যার সঙ্গে কথা বলা নিয়ে বিবাদ সেই সোনু কুমার বলে, ও আমার সঙ্গে কথা বলছিল, তখনই ওর বাবা দেখতে পেয়ে মারতে মারতে বাড়িতে নিয়ে যায়। আমাদেরও অশ্রাব্য কথা বলছিল। তারপর রাতে শুনি ও মারা গিয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুলের বাবা শিউচরণ কুমার শ্রীরামপুরের বৈষ্ণবপাড়া লেনে থাকতেন। গত রাখি পূর্ণিমার দিন মেয়েটির দাদা ও বউদি নতুন মাহেশে নতুন বাড়ি করে চলে আসেন। তারপর থেকে বাবা-মা ও মেয়ে সেখানেই থাকত। শিউচরণ কলকাতায় একটি কাপড়ের গদিতে কাজ করেন। এলাকায় বদমেজাজি হিসেবে পরিচয় আছে। পাড়ায় নতুন এলেও ওই পরিবার প্রতিবেশীদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখত না। এমনকী মেয়েটির কারও সঙ্গে কথা বলা নিয়ে ইতিমধ্যেই একবার বিবাদ হয়ে গিয়েছে। প্রতিবেশীদের দাবি, শুধু বাইরে নয়, বাড়িতে নিয়ে গিয়েও তাকে মারধর করা হয়। প্রচুর চিৎকার চেঁচামেচি শোনা গিয়েছে। তারপরেই আচমকা মেয়ে অসুস্থ বলে পরিবারের লোকজন ছুটোছুটি শুরু করে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটির গলায় ফাঁসের দাগ আছে। সে আত্মঘাতী হয়েছে, নাকি ফাঁস দেওয়া হয়েছে— সেটা তদন্ত করে দেখছে পুলিস।