বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
উইকএন্ড মানেই সল্টলেকের বিভিন্ন বাজারে মানুষের ঢল নামে। বৈশাখী বাজারে গিয়ে এমন চেতনাহীন মানুষের দেখা মিলেছে। ক্রেতা-বিক্রেতা থেকে শুরু করে বাজারের প্রায় অধিকাংশ মানুষকেই মাস্ক ছাড়াই ঘোরাফেরা করছেন। অনেকে আবার চায়ের দোকান কিংবা অন্য কোথাও সামাজিক দূরত্বকে লাটে তুলে দল বেঁধে গল্প জুড়েছেন। মাস্ক ঝুলছে গলায় কিংবা থুতনিতে। সিএ ব্লকের বাজারে আড্ডারত ষাট ছুঁই ছুঁই এক ব্যক্তির অজুহাত, ‘প্রচণ্ড গরমে মাস্ক পড়ে থাকতে অসুবিধা হচ্ছে, তাই খুলে পকেটে রেখেছি।’ বাজারের মাছ-মাংস এবং সব্জি বিক্রেতাদের প্রায় কেউই সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢাকছেন না। ক্রেতাদেরও নজর নেই তাতে। জিডি ব্লকের বাজারেও একই ছবি। ক্রেতারাই নিজেদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে কেনাকাটা করছেন। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা বেরলেই তড়িঘড়ি করে মাস্ক পরে নিচ্ছেন তাঁরা। তবে ক্যামেরার আড়াল হলেই আবার যে কে সেই।
তাহলে করোনা মোকাবিলা কি আদৌ সম্ভব? প্রশ্ন তুলছেন সল্টলেকের সচেতন বাসিন্দারা। এজে ব্লকের এক বাসিন্দার মত, সল্টলেকের সবকটি বাজারে নিয়মিত পুলিস এবং প্রশাসনের নজরদারি চালানো জরুরি। অনেকেই মনে করছেন, বিধাননগর এলাকায় যত করোনা সংক্রমণ হচ্ছে, তার বেশির ভাগেরই প্রধান উৎস বাজারগুলি। অবিলম্বে এইসব বাজার চিহ্নিত করে পুলিস নজরদারি না চালালে ভবিষ্যতে বিধাননগরে করোনার রেকর্ড সংক্রমণ হতে পারে। যা নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। তাই সময় থাকতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক।