রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
নতুন তালিকায়, আটটি কন্টেইনমেন্ট জোন বা সংক্রামিত এলাকা রয়েছে ৩ নম্বর বরোয়। পাঁচটি কন্টেইনমেন্ট এলাকা ১২ নম্বর বরোয়। চারটি সংক্রামিত এলাকা ৮ নম্বর বরোয় এবং তিনটি সংক্রামিত এলাকা রয়েছে ৯ নম্বর বরোয়। অন্যদিকে, একটি করে সংক্রামিত এলাকা রয়েছে ১১, ১০ ও ১৬ নম্বর বরোয়। একটিও বস্তি এলাকা নেই নয়া তালিকায়। উল্লেখ্য, আগস্ট মাসের শুরুতেই এক ধাক্কায় জোন বেড়ে জোন হয়েছিল ৩৭টি। তারপর সেটা পৌঁছায় ৩৯টি। এবার প্রায় হপ্তা দুয়েক পর কন্টেইনমেন্ট জোনের তালিকা থেকে বাদ গেল ১৬টি এলাকা। ১, ২, ৪, ৫, ৬, ৭, ১৩ ,১৪ ও ১৫ এই ৯টি বরোতে কোনও সংক্রামিত এলাকা নেই। নতুন সংক্রমিত এলাকার তালিকায় সবই বহুতল বা বসত বাড়ি।
কাঁকুড়গাছি, ফুলবাগান, পাটুলি, বাঘাযতীন, বালিগঞ্জ, আলিপুর মূলত এই অঞ্চলগুলোতে কেন্দ্রীভূত হয়েছে সংক্রামিত এলাকার সংখ্যা। সবচেয়ে বেশি কন্টেইনমেন্ট অঞ্চল রয়েছে ১২ নম্বর বরোর ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে। দেখা যাচ্ছে, মূলত পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব কলকাতাতেই সংক্রমণের হার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। শহরের অন্যত্র আক্রান্তের খোঁজ মিলছে বিক্ষিপ্তভাবে। তাই, এই সমস্ত অঞ্চলে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে বলেই জানাচ্ছে পুর- কর্তৃপক্ষ। তবে শহরের একটা বড় অংশে সংক্রমণ মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সেক্ষেত্রে নিয়মিত সোয়াব টেস্ট, নতুন করে শুরু হওয়া অ্যান্টিজেন টেস্ট, সাপ্তাহিক লকডাউন সহ প্রশাসনের নানাবিধ উদ্যোগ সাফল্যের মুখ দেখছে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা প্রশাসক বোর্ডের সদস্য অতীন ঘোষ বলেন, এই কম-বৃদ্ধি চলতেই থাকে। কোনও একটি এলাকাতে দিনের-পর-দিন আক্রান্তের খোঁজ মিললে, সেই এলাকা কন্টেইনমেন্ট করে দেওয়া হচ্ছে। শহরের অন্যত্র সংক্রমণ কমলেও, ওই নির্দিষ্ট এলাকাগুলিতে বেশি করে কেস সামনে আসছে। গত সপ্তাহ আগেও যেখানে প্রতিদিন ৭০০-৮০০ করে আক্রান্ত হচ্ছিলেন কলকাতায়, সেখানে এখন সংখ্যাটা দৈনিক গড়ে ৫০০ থেকে সাড়ে ৫৫০ মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। স্বাভাবিকভাবেই সংক্রমিত এলাকার তালিকা কমবে।