কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কী ঘটেছিল? দিন কয়েক আগে হিঙ্গলগঞ্জ বাজারে এক ভবঘুরেকে দেখতে পেয়ে নিজের ঘরে নিয়ে আসেন স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ। দীর্ঘ সময় কথা বলার চেষ্টা চালিয়ে সুশান্তবাবু জানতে পারেন, তাঁর নাম সুশীলকুমার চৌবে, বাবার নাম এম এল চৌবে। কিন্তু আর কিছুই তাঁর মনে নেই। এরপর সুশান্তবাবু ওয়েস্ট বেঙ্গল হ্যাম রেডিওর সম্পাদক অম্বরীশ নাগ বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। হ্যাম রেডিও’র সদস্যরা এসে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। নিজেদের কৌশল অবলম্বন করে তাঁরা ওই ব্যক্তির উচ্চারণ শুনে বুঝতে পারেন, তিনি আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। অম্বরীশবাবু ফোনে বললেন, আমরা নিয়মমাফিক আমাদের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। ছবি দিয়ে খোঁজ শুরু হয়। এলাহাবাদের রাঠোরগড়ের পঞ্চায়েত প্রধানের মাধ্যমে ওই ব্যক্তির নিখোঁজের বিষয়টি জানা যায়। কিন্তু যে গ্রামে তাঁর বাড়ি, সেটি রেড জোন হওয়ায় আমাদের সদস্যরা ঢুকতে বাধা পান। তখন আমি উত্তরপ্রদেশের ওই জেলার পুলিস সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। এরপর পুলিসের সাহায্যেই সুশীল চৌবের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। ওই ব্যক্তির ভাই সতীশ চৌবে বলেন, ছ’মাস আগে ট্রাক নিয়ে বেরিয়েছিল দাদা। কিন্তু আর ফেরেনি। বিত্তশালী ঘরের ছেলে সুশীলকে নিতে তাঁর ভাই সতীশ চৌবে এবং আরও দু’-একজন গাড়ি করে হিঙ্গলগঞ্জ আসেন। দাদাকে খুঁজে পেয়ে তাঁরা হ্যাম রেডিও এবং সুশান্তবাবুকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান।
একইভাবে কৃষ্ণনগরের সুভাষপল্লি থেকে ১০ দিন আগে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এক যুবক উদ্ধার হলেন বনগাঁ বাজারে। তিনিও স্মৃতিশক্তি হারিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছিলেন। ওই যুবকের নাম কার্তিক পাল (২৪)। সোনার দোকানের কারিগর। বাবার মৃত্যুর পর কুম্ভে যান। সেখান থেকে ফিরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন। প্রায় দু’সপ্তাহ আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। -নিজস্ব চিত্র